চট্টগ্রামে হারের পর সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের সামনে জয়ের কোনো বিকল্প নেই। এমন ম্যাচে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে টাইগারদের অল্প রানেই আটকে দিয়ে বিনা উইকেটে নিরাপদে দিন শেষ করেছিলো সফরকারী ভারত। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিলো টাইগাররা।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই দারুণ দৃঢ়তা দেখাচ্ছিলেন রাহুল ও গিল। আগের দিন অপরাজিত থাকা দুজন এদিন যোগ করেন আরো ৮ রান।
এরপরই আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। ১০ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন রাহুলকে। এর আগে টস জিতে দিনের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। তবে ২২৭ রানেই গুটিয়ে যায় সাকিব আল হাসানের দল। জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৯ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করে ভারত। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের সবাই গেলেন দুই অঙ্কে।
তবে মুমিনুল ছাড়া আর কেউ ইনিংস বড় করতে পারলেন না। কেউ ছাড়াতে পারলেন না বিশের ঘর। প্রথম ছয় জুটির পাঁচটি গেল চল্লিশের আশেপাশে।
কোনো জুটি ছুঁতে পারল না পঞ্চাশ। শেষ দিকে মাত্র ১৪ রানে বাংলাদেশ হারাল শেষ ৫ উইকেট। তিনে নামা এক মমিনুল হক ছাড়া আর কেউ তেমন বলার মতো রান করতে পারেননি। দশম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১৫৭ বল খেলে ৮৪ রান করেছেন মমিনুল।
২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ভারতের সফলতম বোলার উমেশ যাদব। ৭১ রানে ৪ উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এক যুগ পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা জয়েদব উনাদকাট ২ উইকেট নেন ৫০ রানে। এর আগে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তা দেখাচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসান। দুই বাঁহাতি ওপেনার খেলছিলেন বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে। তবে ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারলেন না।
উমেশ যাদবের বলে সিরাজের হাত থেকে বেঁচে গেলেও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না জাকির। উনাদকাটের বলে ১৫ রানের মাথায় দলনেতা লোকেশ রাহুলের হাতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। জাকিরের বিদায়ের দুই বল পরই রবিচন্দ্রন আশ্বিনের বলে লেগ বিফোরের ফাদে পরে বিদায় নেন শান্তও (২৪)। শান্ত চেয়েছিলেন আশ্বিনের বলটা ছেড়ে দিতে। কিন্তু পারলেন না।
বল গিয়ে লাগলো তার প্যাডে। আর তাতেই আঙ্গুল তুলে দেন আম্পায়ার। লাঞ্চ বিরতির পর নেমেই খেই হারান সাকিবও। প্রথম বলেই বিদায় নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। উমেশ যাদবের বলে চেতেশ্বর পূজারার হাতে ২৪ রানে ধরা পড়েন তিনি। সাকিবের আউটের পর বিদায় নেন মুশফিকও। এরপর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে উইকেট বিলিয়ে দেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা লিটন দাস। তাতে ভাঙে মমিনুলের সঙ্গে তার ৪৭ বলে ৪২ রানের জুটি। এক ছক্কা ও দুই চারে ২৬ বলে ২৫ রান করেন লিটন। লিটনের বিদায়ের পর ভালোই খেলছিলেন মিরাজ।
তবে তিনিও উমেশ যাদবের বলে আলগা শটে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে গেলেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে কিপার রিশভ পান্তের গ্লাভসে ধরা পরেন তিনি। ভাঙে ১০৬ বল স্থায়ী ৪১ রানের জুটি। আটে নেমে দ্রুতই ফিরলেন নুরুল হাসান সোহান। টিকলেন কেবল ১৩ বল। করলেন ৬ রান। উমেশ যাদবের ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি সোহান। আম্পায়ার জোরাল আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নিতে বলেন কিপার রিশাভ পান্ত। তাতেই ধরা সোহান।