ম্যাচ শেষেই অধিনায়কের বক্তব্যে সাকিব বললেন, ‘আমরা বেশ কিছু যদি-কিন্তুর কথা বলতে পারি।’ আশা জাগিয়ে হারা ঢাকা টেস্টে ওই ‘যদি-কিন্তু’ মিলে গেলে জিততে পারতো বাংলাদেশ। তা হয়নি। তৃতীয় দিন শেষ বেলায় ৩৭ রানে চারটি এবং চতুর্থ দিন সকালে ৭৪ রানে সাত উইকেট তুলে নেওয়ার পরও ১৪৫ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট থাকতে জয় তুলে নিয়েছে ভারত। যেখানে সাকিবের আক্ষেপ অষ্টম উইকেট ভাঙতে না পারা নিয়ে।
ওই জুটিতে অশ্বিন এবং শ্রেয়াস আয়ার ৭১ রান তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে সাকিব বলেন, ‘সকলেই অবদান রেখেছেন। জানতাম যে, মিরপুরে আমাদের একটা সুযোগ আছে। দুই দলই ভালো খেলেছে। দারুণ এক টেস্ট হয়েছে। অশ্বিন এবং শ্রেয়াসকে কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা খুবই ভালোভাবে চাপ সামলেছেন।’তৃতীয় দিন বিকেলে শেষ বেলায় মমিনুল হক শটে দাঁড়িয়ে খুবই ভালো এক ক্যাচে বিরাট কোহলিকে সাজঘরে পাঠান। চতুর্থ দিন অশ্বিন একই ধরনের ক্যাচ দিয়েছিলেন।
কিন্তু মমিনুল তালুবন্দি করতে পারেননি। ওই উইকেট নিতে পারলে ম্যাচের চিত্র ঘুরে যেতে পারতো। সাকিব বলেন, ‘আমাদের হাতে ৭০ এর মতো রান ছিল। একটা উইকেট নিতে হতো। আমরা বেশ কিছু যদি-কিন্তুর কথা বলতে পারি। কিন্তু যেভাবে লড়েছি তার জন্য গর্বিত।’
সাকিব ঢাকা টেস্টে ভালো বোলিং করেছেন। প্রথম ইনিংসে চারটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন দুই উইকেট। তবে ব্যাট হাতে রান পাননি। প্রথম ইনিংসে ১৬ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ রান করেন তিনি। সাকিব জানান, দলে তার ভূমিকা অলরাউন্ডার হিসেবে। প্রথম টেস্টে বোলিং করতে পারেননি তিনি। বছর শেষ হচ্ছে। আগামী বছর বাংলাদেশ দল আরও ভালো করবে বলে বিশ্বাস তার।