সর্বশেষ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: আট দলের মধ্যে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান বাংলাদেশ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দলগুলোর জন্য বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইনজুরি। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সাত দলের স্কোয়াডে এসেছে একাধিক পরিবর্তন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার ছিটকে গেছেন চোটের কারণে। তবে এই ইনজুরি দুর্ভাগ্যের তালিকা থেকে এখনো দূরে রয়েছে বাংলাদেশ দল। চোট-শঙ্কা কাটিয়ে পূর্ণশক্তির দল নিয়েই আসন্ন আসরে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে টাইগাররা।ক্রিকেট বই

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। দল ঘোষণার পর একে একে তিন তারকা ক্রিকেটার ছিটকে গেছেন ইনজুরির কারণে। অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ, ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড চোটের কারণে বাদ পড়েছেন স্কোয়াড থেকে। শুধু ইনজুরিই নয়, আকস্মিক অবসর নিয়েছেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোয়নিস। এছাড়া ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন অভিজ্ঞ পেসার মিচেল স্টার্ক। ফলে বড়সড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে অজিদের।

স্বাগতিক পাকিস্তান ইনজুরির ধাক্কা খেয়েছে দল ঘোষণার আগেই। চোটের কারণে ওপেনার সাইম আইয়ুব ছিটকে গেছেন প্রতিযোগিতা থেকে। এরপর স্কোয়াড ঘোষণার পরপরই ইনজুরিতে পড়েছেন গতি তারকা হারিস রউফ। এই দুই তারকার না থাকা পাকিস্তানের পরিকল্পনায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রথম ধাক্কাটা এসেছিল স্পিনার মুজিব উর রহমান-এর ইনজুরিতে। তার অনুপস্থিতিতে দলে নেওয়া হয়েছিল আরেক স্পিনার এএম ঘাজানফরকে, কিন্তু ইনজুরির কারণে তাকেও হারাতে হয়েছে আফগানিস্তানকে। ফলে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে স্পিনার খারোটেকে।

ভারত দলে সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে মূল পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা জাসপ্রিত বুমরাহ-কে হারিয়ে। অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় থেকেই পিঠের ইনজুরিতে ভুগছিলেন তিনি, যার ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা হচ্ছে না এই তারকার। তার অনুপস্থিতি ভারতের বোলিং আক্রমণে বড় ফাঁক তৈরি করবে।

ইনজুরির ছোবল লেগেছে ইংল্যান্ড স্কোয়াডেও। প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই তারা হারিয়েছে জ্যাকব বেথেলকে। নিউজিল্যান্ড শিবিরে চোট পেয়েছেন পেসার লকি ফার্গুসন। এছাড়া পাকিস্তানে খেলতে এসে শেষ মুহূর্তে ইনজুরিতে পড়েছেন উদীয়মান তারকা রাচিন রবীন্দ্র।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলের জন্য বড় দুঃসংবাদ হলো তাদের গতি তারকা এনরিখ নরকিয়া ইনজুরির কারণে ছিটকে গেছেন। তার না থাকা প্রোটিয়াদের পেস আক্রমণে বড় শূন্যতা তৈরি করবে।

যেখানে প্রায় সব দল ইনজুরির ধাক্কায় বিপর্যস্ত, সেখানে বাংলাদেশ দল এখনো চোট-দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত। পুরো স্কোয়াড ফিট থাকায় নির্ভারভাবেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছে টাইগাররা। অনুশীলনের সময় সৌম্য সরকার হালকা চোট পেয়েছিলেন, তবে সেটি গুরুতর নয়, এবং তার খেলা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। ইনজুরি মুক্ত দল নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামতে পারা বাংলাদেশের জন্য হতে পারে বড় এক সুবিধা। এবার দেখার পালা, এই সৌভাগ্য মাঠের পারফরম্যান্সেও প্রতিফলিত হয় কি না!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *