উড়ন্ত জয়ে কিউইদের বিপক্ষে টাইগারদের শুভসূচনা। নুরুল হাসান সোহানের দলের কাছে পাত্তাই পেল না সফরকারী নিউজিল্যান্ড ‘এ’। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে একপেশেভাবে দাপট দেখালেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। রাজসিক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পাশাপাশি সিরিজেও এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সফরকারী দলের অধিনায়ক নিক কেলি। দলীয় ৫ রানে ডেল ফিলিপসকে শিকার করেন শরিফুল ইসলাম, সে-ই শুরু। চতুর্থ ওভারে দলীয় ৬ রানে খালেদ আহমেদ সাজঘরে ফেরান ম্যাট বয়েল ও আব্বাসকে। দলীয় ১৪ রানে চতুর্থ উইকেটও হারিয়ে ফেলে দল। এবারও উইকেট পান শরিফুল।
প্রবল ঝড়ের মুখে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা চালান রিস মারিউ, ৫১ বলে ৪২ রান করে যার ইনিংসের ইতি ঘটে তানভির ইসলামের শিকার হয়ে। এরপর শেষ লড়াই চালান ডিন ফক্সক্রফট। একপর্যায়ে তিনি হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। এই দুজন ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের দেখা পাননি। ফক্সক্রফট এক উইকেট হাতে রেখে রান বাড়ানোর মিশনে নামেন।
৮৫ রানে ৯ম উইকেটের পতন ঘটলেও ১০ম উইকেট ফেলতে গলদঘর্ম হতে হয় বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে। ঝড়ো ব্যাটিং আটে নামা ফক্সক্রফট তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। শেষপর্যন্ত ৬৪ বলে ৭২ রান করে ক্ষান্ত হন, ছয়টি চারের সাথে হাঁকান চারটি ছক্কা। ৩৪.৩ ওভারে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ অলআউট হয় ১৪৭ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে খালেদ আহমেদ ও তানভির ইসলাম তিনটি করে এবং এবাদত হোসেন চৌধুরী ও শরিফুল ইসলাম দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলতে থাকে টাইগাররা। চতুর্থ ওভারে দলীয় ৩০ রানে পারভেজ হোসেন ইমন এবং ষষ্ঠ ওভারে ৫৩ রানে নাঈম শেখ বিদায় নেন। ইমন ১২ বলে ২৪ ও নাঈম ২০ বলে ১৮ রান করেন। দ্রুত জয় তুলে নেওয়ার পথ দেখিয়ে দেন দুজনে, বাকি কাজটা সহজ হয়ে যায় অন্য ব্যাটারদের জন্য।
অর্ধশতকের খুব কাছে গিয়ে অবশ্য সাজঘরে ফিরতে হয় বিজয়কে। তার আগে ৪৫ বলে করেন ৩৮ রান। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন দারুণ সঙ্গ দেন তাকে, যিনি পরে জুটি গড়েন অধিনায়ক সোহানের সাথে।
এই জুটিতে ভর করেই জয়ের বন্দরে পা ফেলে টাইগাররা। অঙ্কন ৬১ বলে ৪২ ও সোহান ২৬ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ ‘এ’ ৭ উইকেটের জয় পায় ১৩৬ বল হাতে রেখে।