সর্বশেষ

হোটেল রুমে একসঙ্গে ৪ ঘণ্টা খাট কাঁপালেন জায়েদ ও সায়ন্তিকা

অভিনেতা জায়েদ খানের সঙ্গে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিং করতে গত মাসে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন টলিউড অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুটিং করার কথা ছিল তার। কিন্তু সায়ন্তিকা শুটিং শেষ না করেই হঠাৎ ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতা চলে যান। তার এভাবে চলে যাওয়ার নিয়ে নানা রকম খবর আসে সংবাদমাধ্যমে। কিন্তু কলকাতার এক সংবাদমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে সায়ন্তিকা শুটিং ইউনিট নিয়ে করেছেন আপত্তিকর মন্তব্য।

কলকাতার সংবাদমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে সায়ন্তিকা দাবি করেছেন, নৃত্য পরিচালক নয়, বরং মূল সমস্যার নেপথ্যে সিনেমার প্রযোজক। কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই শুরু হয়েছে ‘ছায়াবাজ-এর শুটিং। বারবার চেষ্টা করেও টেকনিক্যাল সমস্যার সমাধান পাননি তিনি। শুটিং ইউনিটকে তিনি অপেশাদার এবং অগোছালো বলেছেন। এগুলো ঠিকঠাক না হলে তিনি শুটিংয়ে ফিরবেন না।

সায়ন্তিকার এ অভিযোগ যখন সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে, তারপর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘সায়ন্তিকার সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর। হাত ধরা নিয়ে সায়ন্তিকার সমস্যা মাইকেল বাবুর সঙ্গে। তিনি পরিচালককে ফোন করে মাইকেল বাবুকে মারতেও চেয়েছিলেন। এখন আমার বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা কেন অভিযোগ করছেন, সেটাই তো বোধগম্য নয়। আমার সঙ্গে তার সমস্যা হলে মাইকেলকে কেন বসিয়ে রাখবেন? একজন তারকা যদি নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে না পারেন, তাহলে আর কী বলার আছে।’

শুটিংয়ে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, ‘কীভাবে শুটিং হবে, এটা ঠিক করেন পরিচালক। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল গানের দৃশ্য দিয়ে শুরু হবে শুটিং। অপেশাদারি আচরণ আমি নই, সায়ন্তিকা করেছেন। চুক্তির বাইরে আমরা তাকে ৫০ হাজার রুপি দিয়েছি পোশাকের জন্য। অথচ তিনি কোনো পোশাক নিয়ে আসেননি। এরপর আবার ড্রেসম্যান মনিরকে দিয়ে পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সে পোশাকগুলোও সায়ন্তিকা ফেরত দিয়ে যাননি।’

মনিরুল আরও বলেন, ‘মাইকেলের ডিরেকশনে গানের শুটিং করার সময় ড্রেস পরিবর্তন করার জন্য বেলা ২টায় হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। ড্রেস চেঞ্জ করতে চার ঘণ্টা সময় লাগে, এমনটা কখনো দেখিনি। এছাড়া যেদিন আমরা শুটিং প্যাকআপ করে পুরো ইউনিট নিয়ে চলে আসি, সেদিন নায়ক-নায়িকা হোটেলেই থেকে যান। ওই দিন তারা সেখানে কী করছিলেন? এ প্রশ্নের জবাব তারা কী দেবেন? এ কথাগুলো কখনো সামনে আনতে চাইনি। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।’

নৃত্য পরিচালক পরিবর্তন নিয়ে প্রযোজক মনিরুল বলেন, ‘চারটি গানে তিনজন নৃত্য পরিচালকের কাজ করার কথা। প্রথম গানটি করেছিলেন সাইফ খান কালু। তার আরেকটি গান ছিল শিশুশিল্পীকে নিয়ে। সে গানটি পরে করার কথা। তাই কালু চলে এসেছেন। সেখানেই তাকে তার পেমেন্ট দিয়ে দেয়া হয়েছে। আর পরিচালক কাকে দিয়ে নৃত্য পরিচালনা করাবেন, সেটা তার বিষয়।’

সায়ন্তিকা মাইকেলকে বলেছেন, ‘‘বাচ্চা ছেলে’। মাইকেল তো নৃত্য পরিচালক সমিতির সদস্য। নিশ্চয়ই তার যোগ্যতা না থাকলে তিনি কোনো সংগঠনের সদস্য হতে পারতেন না। মাইকেলের বিরুদ্ধে এমন কথা বলে সায়ন্তিকা আমাদের পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে অসম্মান করেছেন।’’

এদিকে নায়িকা ও প্রযোজকের পাল্টাপাল্টি এমন অভিযোগে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে এ বিষয়ে জানতে সিনেমাটির পরিচালক তাজু কামরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *