আইপিএলের চলতি আসরে দল পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। আইপিএল বাকি অংশের জন্য বাংলাদেশের পেসারকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লী ক্যাপিটালস। তাকে নিতে দলটির খরচ পড়েছে ৬ কোটি রুপি যা বাংলাদেশি ক্রিকেটার মধ্যে সর্বোচ্চ।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল আইপিএল। দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ায় আবারও মাঠে গড়াচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। তবে ব্যক্তিগত কারণে আইপিএলের বাকি অংশ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। তার বদলি হিসেবে মুস্তাফিজকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লী ক্যাপিটালস। অজি ব্যাটার জ্যাক ফ্রেজর-ম্যাকগার্কের বদলি হিসেবে টুর্নামেন্টের বাকি অংশের জন্য তাকে পেতে দলটিকে গুনতে হবে ৬ কোটি রুপি। টুর্নামেন্টে যতগুলো ম্যাচ খেলবেন তার হিসাবে টাকা পাবেন এই পেসার। পয়েন্ট তালিকার পাঁচে থাকা দিল্লীর বাকি আছে আর ৩ ম্যাচ।
আইপিএলে এর আগে খেলেছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। এর মধ্যে মুস্তাফিজের দামই সর্বোচ্চ। ছাড়িয়ে গেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। এতদিন মাশরাফিই ছিলেন সবচেয়ে দামি টাইগার ক্রিকেটার। নিলামে তার ভিত্তিমুল্য ছিলো মাত্র ৫০ হাজার ডলার। কিন্তু নিলামের তাকে নিয়ে দলগুলোর কাড়াকাড়িতে তার মূল্য পৌছায় ৬ লাখ ডলারে যা এতদিন ছিল সর্বোচ্চ।
এছাড়া মোহাম্মদ আশরাফুল, আব্দুর রাজ্জাকরাও দল পেয়েছিলেন আইপিএল। তবে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে সাকিব আল হাসান। ২০১১ সালে তার দাম ছিল ৪ লাখ ডলার। তালিকায় পরের স্হানটাও সাকিবের। ২০২১ সালে ৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সে দল পান সাকিব। সেরা পাঁচের শেষ নামটাও তারই। ২০১৪ সালে ২ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে সাকিবকে দলে নেয় শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স।
এছাড়াও মুস্তাফিজুর রহমান ২ কোটি ২০ লাখ, ২ কোটি রুপি, ১ কোটি ৪০ লাখ রুপি ও ১ কোটি রুপিতে দল পেয়েছেন আইপিএলে। ৫০ লাখ রুপিতে একবার আইপিএল খেলেছেন লিটন দাস।
একনজরে আইপিএলের সবচেয়ে দামি বাংলাদেশি ক্রিকেটার :
মুস্তাফিজুর রহমান – দিল্লী ক্যাপিটালস – ৬ কোটি রুপি
মাশরাফি বিন মুর্তজা – কলকাতা নাইট রাইডার্স – ৬ লাখ ডলার
সাকিব আল হাসান – কলকাতা নাইট রাইডার্স – ৪ লাখ ডলার
সাকিব আল হাসান – কলকাতা নাইট রাইডার্স – ৩ কোটি ২০ লাখ রুপি
সাকিব আল হাসান – কলকাতা নাইট রাইডার্স – ২ কোটি ৮০ লাখ রুপি