নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথম ওভারেই ভয়ংকর জেমস ভিন্সকে ফিরিয়ে দিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। ১ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, মিডল ওভারে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে এবার আরও দেখা যাবে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারকে। কিন্তু তা হয়নি। সাকিবের সেই একমাত্র ওভারেই শেষ হয়ে যায় তার বোলিং দায়িত্ব।
আর তাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। লাহোর কালান্দার্স অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে ভক্তরা।
সাকিবের শুরুতেই উইকেট, এরপর কেন বিশ্রাম?
এলিমিনেটর ম্যাচে টিকে থাকার লড়াইয়ে করাচি কিংসকে থামাতে হলে শুরুতেই দরকার ছিল বড় উইকেট। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বল হাতে আনা হয় সাকিবকে। তার প্রথম ওভারের প্রথম পাঁচ বলে মাত্র ৪ রান নেয় করাচির দুই ওপেনার। এরপর শেষ ডেলিভারিতে জেমস ভিন্সকে লফটেড খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় মাত্র ৪ রানে।
তবে এরপরই সাকিবের বোলিং বন্ধ। নাইম শেখের মতো পার্ট-টাইম স্পিনার পেলেন ৩ ওভার, আর সাকিব দাঁড়িয়ে দেখলেন বাকি সময়টা। তাতেই প্রশ্ন উঠেছে—এই পরিকল্পনা কেমন করে হলো?
শাহীন যা বললেন ম্যাচ শেষে
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শাহীন আফ্রিদি ব্যাখ্যা দেন,
“আমরা পুরো ম্যাচের জন্য একটা ফাস্ট বোলিং পরিকল্পনা করেছিলাম। চেষ্টা করেছি সেই কৌশলেই আগাতে। তবে বাস্তবে সেটা কার্যকর হয়নি। নাইম আর সাকিবের বোলিং রোটেশনটা ঠিকভাবে সাজাতে পারিনি।”
তবে এমন ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন সমর্থকরা। অনেকেই বলছেন, সাকিবের মতো অভিজ্ঞ একজন স্পিনারকে বাদ রেখে ফাস্ট বোলিংয়ে জোর দেওয়া পরিকল্পনার জন্যই ১৯০ রান হজম করতে হয়েছে।
ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে কী ভুল হয়েছে?
ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাকিবের মতো ইকোনমিক ও উইকেট-টেকিং স্পিনারকে মিডল ওভারে ব্যবহার করলে রান চাপে রাখা যেত। সেই সুযোগ হারিয়ে পেসাররা ব্যর্থ হওয়ায় করাচি ১৯০ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে।
ভক্তদের প্রতিক্রিয়া
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভক্ত লেখেন—
“ম্যাচে সাকিবকে শুধু একটা ওভার বোল করানো মানে রাশিয়ান রুলেট খেলা। আফ্রিদি পরিকল্পনার নামে দলকে ডুবিয়েছেন।”
আরেকজন টুইটারে মন্তব্য করেন,
“সাকিবের মতো বোলার দলে রেখে ১ ওভার করানো মানে, ম্যাচটা গিফট করে দেওয়া।”
বাংলাদেশি ভক্তদের হতাশা ও পাকিস্তানি দর্শকদের সমালোচনার মাঝেই লাহোর কালান্দার্সের টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। খেলায় জয়-পরাজয় থাকেই, কিন্তু সাকিবের মতো অভিজ্ঞতার অপচয়—তা নিয়েই এখন বিতর্ক তুঙ্গে।
FAQ (প্রশ্নোত্তরসহ):
প্রশ্ন ১: সাকিব আল হাসান কয় ওভার বল করেছেন করাচির বিপক্ষে এলিমিনেটরে?
উত্তর: মাত্র ১ ওভার, যেখানে তিনি ৪ রান দিয়ে জেমস ভিন্সের উইকেট শিকার করেন।
প্রশ্ন ২: শাহীন শাহ আফ্রিদি কেন সাকিবকে আর বল দেননি?
উত্তর: ম্যাচ শেষে তিনি জানান, পরিকল্পনা ছিল ফাস্ট বোলিং অ্যাটাক ধরে রাখার, তবে সেটা কার্যকর হয়নি।
প্রশ্ন ৩: সাকিবের বদলে কাকে ব্যবহার করা হয় বোলিংয়ে?
উত্তর: পার্ট-টাইম স্পিনার মোহাম্মদ নাইম ৩ ওভার বল করেন, নেন ১ উইকেট।
প্রশ্ন ৪: সমর্থকরা কেন ক্ষুব্ধ হয়েছেন?
উত্তর: সাকিবের মতো অভিজ্ঞ বোলারকে এক ওভারেই থামিয়ে দেওয়া ও ফাস্ট বোলিংয়ের দিকে অতিরিক্ত নির্ভরতায় হতাশ হন অনেক সমর্থক।