আজ বল হাতে দূর্দান্ত ছিলেন মোস্তাফিজ। ৪ ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।যা দিল্লির ইনিংসের সেরা বোলিং ফিগার।
এদিন অধিনায়কত্ব করেন ফাফ ডুপ্লেসিস। তিনি বোলিং প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন মুস্তাফিজ আমাদের ভালো শুরু এনে দিয়েছিল। প্রিয়ান্স আরিয়ার মতো বড় মাপের একজনের উইকেট সে নিয়ে ভালো সূচনা এনে দিয়েছে। তাকে আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পেরেছি এবং বল হাতে সে আজ ভালো করেছে। তার জন্য শুভকামনা রইলো। তবে মুস্তাফিজের মতো একজন বোলারকে নিলামে না কেনায় অবাক হয়েছেন তিনি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই দিল্লির অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি বল তুলে দেন মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে। সেই ওভারের পঞ্চম বলেই প্রিয়ান্স আরিয়ার উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। এই কাটার মাস্টারের পুল করতে গিয়ে ট্রিস্টিয়ান স্টাবসের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এরপর ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আবার বল করতে আসেন মুস্তাফিজ। সেই ওভারে প্রথম বলেই তাকে মাথার ওপর দিয়ে চার মারেন প্রাভসিমরান সিং। চতুর্থ বলে তাকে ফ্লিক করে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারেন জস ইংলিস। সেই ওভারে ফিজ খরচ করেন মোট ১২ রান।
দ্বিতীয় ওভারেই হাতে ব্যথা পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। তবে ১৬তম ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন এই পেসার। সেই ওভারে প্রথম তিন বলে দুটি সিঙ্গেল খরচ করেন তিনি। চতুর্থ বলে ৯ বলে ১১ রান করা শশাঙ্ক সিংকে আউট করেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসারের স্লোয়ার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন শশাঙ্ক। পরের দুই বলে আরও দুটি সিঙ্গেল দিয়ে তৃতীয় ওভার শেষ করেন বাংলাদেশের এই পেসার।
শেষ ওভারে মুস্তাফিজের শিকার জানসেন
ইনিংসের শেষের দিকে দিল্লির বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন মার্কাস স্টইনিস। এমন অবস্থাতেই শেষ ওভার করতে আসেন মুস্তাফিজ। প্রথম বলে সিঙ্গেলের পর দ্বিতীয় বলে দেন ডট। পরের বলে মার্কো জানসেনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন এই বাঁহাতি পেসার। সহজ ক্যাচ লুফে নিতে ভুল করেননি উইকেটরক্ষক স্টাবস। পঞ্চম বলে তাকে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান নতুন ব্যাটার হারপ্রীত ব্রার। শেষ বলে আরেকটি উইকেট পেতে পারতেন মুস্তাফিজ। তবে টপ এজ হয়ে ওঠা সেই ক্যাচ নিতে পারেননি মুস্তাফিজ নিজেই। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন এই পেসার।