সর্বশেষ

নিজের উপহার রিশাদকে দিয়ে দিলেন শাহীন আফ্রিদি, গড়লেন ভালোবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) অন্যতম জনপ্রিয় দল লাহোর কালান্দার্স বরাবরই ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলোচনায় থাকে। শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও খেলোয়াড়দের জন্য নানা ধরনের চমক ও অনুপ্রেরণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা। দলের খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়াতে এবং তাদের মাঝে ইতিবাচক আবহ তৈরি করতে লাহোর কালান্দার্সের ফ্র্যাঞ্চাইজি ও টিম ম্যানেজমেন্ট বরাবরই প্রশংসনীয় উদ্যোগ নেয়।

দলটির অন্যতম আকর্ষণীয় এক উদ্যোগ হচ্ছে খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ভ্রমণের বিমানের টিকিট উপহার দেওয়া। এর মাধ্যমে দলটি খেলোয়াড়দের আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে তোলে।

২৫ মে রাতে পিএসএলের ফাইনালে মুখোমুখি হবে লাহোর কালান্দার্স ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগে লাহোর কালান্দার্স তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করে। ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশি উদীয়মান লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেনকে দেওয়া হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক বিমানের টিকিট, যার গন্তব্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই।

অবাক করা বিষয় হলো, এই বিমানের টিকিটটি মূলত বরাদ্দ ছিল লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদির জন্য। তবে তিনি নিজের জন্য তা না রেখে তা উপহার দেন রিশাদকে। এটি নিঃসন্দেহে কেবল একটি উপহারই নয়, বরং একজন অভিজ্ঞ অধিনায়কের তরুণ সতীর্থকে অনুপ্রাণিত করার অসাধারণ দৃষ্টান্ত।

এর আগেও একবার রিশাদ হোসেন পেয়েছিলেন লাহোর কালান্দার্সের পক্ষ থেকে বিমানের টিকিট, যার গন্তব্য ছিল ওমানের রাজধানী মাসকট। অর্থাৎ, এটা তার দ্বিতীয়বারের মতো এমন সম্মাননা পাওয়া, যা তার প্রতি দলের আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।

রিশাদ বর্তমানে পিএসএলে নিজের উপস্থিতি দিয়ে নজর কেড়েছেন। তার পরিশ্রম, নম্র আচরণ ও প্রতিভার প্রতি সম্মান জানিয়েই হয়তো এমন পুরস্কার তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে। আর অধিনায়ক শাহীন যেভাবে নিজের প্রাপ্য একটি মূল্যবান উপহার সতীর্থের হাতে তুলে দিয়েছেন, তা কেবল একজন নেতা হিসেবে নয়, একজন বড় মনের মানুষ হিসেবেও তাকে আলাদা করে চিনিয়ে দেয়।

এর আগে রিশাদকে আইফোন ১৬ প্রোও উপহার দিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেই এই উপহার অর্জন করে নিয়েছেন তিনি। কালান্দার্সের পক্ষে মাত্র ৬ ম্যাচে ১২ উইকেট শিকার করে সবার নজর কেড়েছেন এই বাংলাদেশি লেগি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *