শিরোপা খরায় ভুগতে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের জন্যে একটা দারুণ বুদ্ধি আছে। এই মুহূর্তে তাদের স্কোয়াডে রিশাদ হোসেনকে স্রেফ অন্তর্ভুক্ত করা। তাহলেই শিরোপা নিশ্চিত। ১৮ বছরের শিরোপার জন্যে অপেক্ষা মুছে যেতে সময় লাগবে না। আরে মশাই রসিকতা না, খুবই সিরিয়াস। রিশাদ রীতিমত ‘লাকি চার্ম’। চ্যাম্পিয়ন ভাগ্য নিয়ে এসেছেন তিনি।
গেল ছয় মাসে চারটি ভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে চারটি ভিন্ন দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এটা ভীষণ স্বাভাবিক। কিন্তু অস্বাভাবিক হচ্ছে এই চারটি দলের সাথেই রিশাদের সংযুক্তি। অলৌকিক এক শক্তিধর চরিত্র এই রিশাদ হোসেন। প্রথমে গ্লোবাল সুপার লিগে চ্যাম্পিয়ন হল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দল রংপুর রাইডার্স।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে হওয়া সেই টুর্নামেন্টে রংপুরের সদস্য ছিলেন রিশাদ। এরপর রিশাদকে দলে নিতে চাইল বিগ ব্যাশের দল হোবার্ট হারিকেন্স। তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণাও দিল দলটি বেশ ঘটা করে। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে অদ্ভুত শর্ত জুড়ে দেওয়ায় রিশাদ খেলতে যেতে পারেননি।
কিন্তু তাতে কি! রিশাদের নাম তো জুড়ে গেছে হোবার্টের সাথে, তাইতো হোবার্ট হারিকেন্সও শেষ অবধি হয়েছে বিগ ব্যাশ চ্যাম্পিয়ন। এরপর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রিশাদ খেললেন ফরচুন বরিশালের হয়ে। যথারীতি ফরচুন বরিশাল বনে গেছে চ্যাম্পিয়ন।
শেষমেশ প্রথমবারের মত রিশাদ গেলেন বিদেশি কোন ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে ভিনদেশে টুর্নামেন্টে। আর সেখানে গিয়েই তিনি চ্যাম্পিয়ন বানালেন লাহোর কালান্দার্সকে। এবার শুধু নিজের ঐশ্বরিক শক্তির বলে নয়, গায়ে-গতরে খেটে, প্রতিপক্ষের উইকেট শিকার করে লাহোরকে চ্যাম্পিয়ন করানোর পথটা সুগম করেছেন।
দিনশেষে শাহীন শাহ আফ্রিদির লাহোরও শিরোপার উৎসবে মেতেছে। অতএব এ কথা তো প্রমাণিত- রিশাদ ‘লাকি চার্ম’। এবার স্রেফ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স রত্নের কদর বুঝলেই হয়। আজ না হয় রসিকতা থাক।