নিজস্ব প্রতিবেদক: মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটার রিপন মন্ডল ছক্কা মারার পর হঠাৎ করেই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন প্রতিপক্ষের বোলার তসেপো এনটুলি। রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ানো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় মাঠে।
ঘটনার সূত্রপাত তখন, যখন ৪৯ বলে ১৮ রান করা রিপন মন্ডল এনটুলির একটি বল সোজা ছক্কা হাঁকান। এরপর এনটুলি দ্রুত এগিয়ে গিয়ে রিপনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি গড়ায় হাতাহাতিতে। একপর্যায়ে এনটুলি রিপনের হেলমেট ধরে টানাটানি শুরু করেন।
সঙ্গে সঙ্গেই দুই আম্পয়ার পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে আসেন এবং দুজনকে আলাদা করেন। কিছু সময়ের জন্য খেলা বন্ধ থাকে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং খেলা আবার শুরু হয়।
এর আগে প্রথম দিনে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৮৯ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪২ রান তোলে। দলের পক্ষে ইফতেখার হোসেন ইফতি করেন ১০৯ রান এবং মোইন খান করেন ৯১ রান। দ্বিতীয় দিনে তারা স্কোর দাঁড় করায় ১০৪.১ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯২ রান।
সাধারণত আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না। যদিও কথার লড়াই প্রায়ই হয়ে থাকে, তবে গায়ে হাত তোলা বরাবরই অপ্রত্যাশিত ও নিন্দনীয়।
FAQ (প্রশ্নোত্তর):
প্রশ্ন: এনটুলি কেন রিপন মন্ডলের উপর চড়াও হন?
উত্তর: রিপনের একটি ছক্কা মারার পর এনটুলি রেগে গিয়ে মাঠেই রিপনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান ও হাতাহাতি শুরু করেন।
প্রশ্ন: ঘটনাটি কতটা গুরুতর ছিল?
উত্তর: এনটুলি রিপনের হেলমেট ধরে টানাটানি করেন, যা মাঠে বিরল ও নিন্দনীয় আচরণ।
প্রশ্ন: ম্যাচে আম্পায়াররা কী পদক্ষেপ নেন?
উত্তর: দুই আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গেই হস্তক্ষেপ করেন এবং দুজনকে শান্ত করেন। পরে খেলা স্বাভাবিকভাবে চলে।