সর্বশেষ

ফারুককে নিয়ে যেসব গুরুতর অভিযোগ, ফাঁ”স করে দিল সব গোপন তথ্য

বিসিবির কার্যনির্বাহী পরিষদে সক্রিয় ১০ জন পরিচালকের মধ্যে ৮ জনই সভাপতি ফারুক আহমেদকে নিয়ে অনাস্থা জ্ঞাপন করেছেন। বাকি দুই পরিচালকের একজন ফারুক, অন্যজন আকরাম খান। এমনকি ফারুকের সাথেই বোর্ডে আসা বর্তমান গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিমও জানিয়েছেন অনাস্থা।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে ফারুকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে পাঠানো চিঠিতে ফাহিম ছাড়াও সাক্ষর আছে সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী, মাহবুব উল আনাম, মনজুর আলম, ফাহিম সিনহা, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম আহমেদ ও সালাউদ্দিন চৌধুরীর।

ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ, দায়িত্বপ্রাপ্তির সাথে সাথে বোর্ডের কমিটিগুলো পুনর্গঠনের কথা থাকলেও পাস মাস পর তিনি বিভিন্ন কমিটি পুনর্গঠন করেন। সেখানে ফারুকের স্বেচ্ছাচারিতা ও একক আধিপত্যের কারণে বেশিরভাগ পরিচালক স্বাভাবিকভাবে ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের পাশ কাটিয়ে তিনি নিজেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, সেই সাথে দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করছেন বলেও উল্লেখ করা হয়।

অনাস্থাপত্রে স্বাক্ষর করে ৮ পরিচালক

অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার কারণে বিসিবির সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে জানিয়ে তারা আরও বলেছেন, চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত ফারুক একাই নিয়েছেন। বোর্ড পরিচালকরাও নাকি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই সিদ্ধান্ত জানতে পেরেছিলেন। এছাড়া অনাস্থাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘পরিচালনা পর্ষদের সভায় পতিত সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত কতিপয় অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে অপসারণের বিষয়ে আলোচনা করা হলেও ফারুক আহমেদ সেই সকল কর্মীদের ছাঁটাই না করে বরং তাদেরকে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে বহাল রেখেছেন। উপরন্তু নিজের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলে তার পছন্দের লোকেদের যথাযথ দক্ষতা ও যোগ্যতা না থাকা স্বত্বেও এবং বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়মবর্হিভূতভাবে বিসিবিতে নিয়োগ প্রদান করেছেন এবং একইভাবে তিনি তার নিজস্ব লোকদের পদোন্নতি দিয়ে বোর্ডের সৎ ও কর্মঠ কর্মীদের কোনঠাসা করে রেখেছেন।’

অনাস্থা জানিয়ে স্বাক্ষরের আগে পরিচালকরা জানান, ‘সভাপতি হিসেবে তার প্রাথমিক লক্ষ্যের অন্যতম শর্তপূরণে তিনি সম্পূর্নরুপে ব্যর্থ হয়েছেন। পরিচালকদের তাগিদ থাকা স্বত্বেও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ ও গঠনতন্ত্র সংশোধনের ও পরিমার্জনের ব্যাপারে সভাপতি দীর্ঘসময় অতিক্রান্ত হলেও কোনরকম উদ্যোগ গ্রহণ না করা তথা অনীহাকে তার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার সামিল এবং তিনি তার অভীষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে তিনি বিচ্যুত হয়েছেন বলে আমরা মনে করছি।’

বিপিএলে দুর্বার রাজশাহী ও আরও একটি দুর্বল দলকে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ফ্র্যাঞ্চাইজির দায়িত্ব দেওয়া এবং নিম্নমানের ও অনিবন্ধিত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানকে বিপিএলের দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে মান ক্ষুণ্ণ হওয়ার পাশাপাশি আর্থিক লোকসানের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া ক্লাব দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততা, ভূমিদস্যু ও পতিত সরকারের সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রদানের মতো গুরুতর অভিযোগও জানিয়েছেন তারা।

সেই সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের র‍্যাংকিংয়ে অবনমন, জিম্বাবুয়ের কাছে হার- এমন বিষয়ও ফারুক আহমেদের ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ৮ বোর্ড পরিচালক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *