দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবলে বড় এক পরিবর্তনের ঘোষণা এলো! বিতর্কিত পারফরম্যান্স, খেলোয়াড়দের সঙ্গে দূরত্ব এবং কৌশলগত ব্যর্থতার পর হাভিয়ের ক্যাবরেরা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচের পদ থেকে বিদায় নিচ্ছেন। তাঁর পরিবর্তে দায়িত্ব পেলেন ব্রাজিলিয়ান কোচ আন্দ্রে জারদিন, যিনি ফুটবলবিশ্বে তরুণ প্রতিভা গড়ার কারিগর হিসেবে পরিচিত।
আন্দ্রে জারদিন সর্বশেষ ব্রাজিল অলিম্পিক দলকে ২০২১ সালের টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জেতানোর কৃতিত্ব অর্জন করেন। তাঁর কৌশল, দ্রুতগতির ফুটবল, আধুনিক গেমপ্ল্যান ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির দক্ষতা তাঁকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে তার আগমন নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে বিশেষ করে তরুণ ও প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য।
নতুন কোচের অধীনে স্কোয়াডে আবারও দেখা যেতে পারে আনিসুর রহমান জিকু এবং তরুণ প্রতিভান খেলোাড়দের। ফেডারেশনের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, কোচের বদলের ফলে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় যারা ক্যাবরেরার অধীনে উপেক্ষিত ছিলেন, তারা আবারও মূল পরিকল্পনায় ফিরছেন।
বিশেষ করে তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার হামজা চৌধুরী, শোমিত হোসেন, শোম সাহরিয়ার ও ফাহমিদুল ইসলাম—এখন আলোচনার শীর্ষে। এই চার ফুটবলারকে ঘিরেই নতুন দলের ছক আঁকছেন জারদিন। ব্রাজিলিয়ান ঘরানার ফুটবল মস্তিষ্ক আর টেকনিক্যাল ঘাটতি পূরণে জারদিন হতে পারেন গেম চেঞ্জার।
বাফুফে (BFF) জানায়, “দলের স্বার্থেই এই পরিবর্তন। আমরা চাই দলের সঙ্গে কোচের সম্পর্ক হোক ইতিবাচক ও কার্যকর। জারদিনের অভিজ্ঞতা এবং মানসিকতা আমাদের ফুটবলে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”
ভক্তরা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। “এটাই তো চাচ্ছিলাম! হামজাদের আবার খেলতে দেখা যাবে,” – এমন মন্তব্যে ভরে উঠেছে ফেসবুক।
এখন দেখার বিষয়, নতুন কোচের অধীনে পুরোনো তারকারা কেমন পারফর্ম করেন এবং বাংলাদেশের ফুটবল ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা।