সর্বশেষ

হামজা আর জামাল মিলে বাজীমাত, ২৫ মার্চ ভারতের জন্য কালো রাত

ডেনমার্ক থেকে জামাল ভূইয়া, ফিনল্যান্ড থেকে তারিক কাজী, আর ইংল্যান্ড থেকে হামজা চৌধুরী—এই তিনজনের সমন্বয়ে বাংলাদেশ ফুটবল আবারও চাঙ্গা হতে পারে, এমনটি একসময় স্বপ্ন দেখেছিল দেশবাসী। বিদেশি প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে নতুন করে শোরগোল সৃষ্টি করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে পেশাদার ফুটবল খেলা শুরু হওয়ার পর, এবারই প্রথম কোনো ক্লাবের হয়ে মাঠে নামেননি দেশের দামাল ক্যাপ্টেন জামাল। দেশে ফিরে জামাল প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন, এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হামজা চৌধুরীর প্রসঙ্গ তুলে বললেন, “হামজা বাংলাদেশের জন্য বিশাল একটি জিনিস, কারণ সে সবচেয়ে হাই লেভেল ফুটবল খেলছে প্রিমিয়ার লিগে। যদি আরও তিন-চারজন হামজা থাকতো, তাহলে দেশের ফুটবল আরও শক্তিশালী হতো।”

এসময় জামাল আরও জানান, “এটা সবার জন্যই ভালো, বসে থাকলে তো হবে না।” সাম্প্রতিক সময়ের ফর্ম খুব ভালো না থাকায় জামাল ডেনমার্কে ফিরে একটি ক্লাবে অনুশীলন শুরু করেছিলেন, তার পুরনো ছন্দে ফিরতে চেয়েছিলেন। জামাল বলেন, “ডেনমার্কে আমি একটি স্থানীয় ক্লাবের সঙ্গে অনুশীলন করছিলাম এবং সেখানে খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলাম।”

ঢাকা আবাহনীতে খেলতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে পারিশ্রমিক কমানোর বিষয়ে জামাল খেলতে রাজি হননি। পরবর্তীতে তিনি বাফুফে’র কাছে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সেই আবেদন এখনও সুরাহা হয়নি। তবে জামাল জানিয়েছেন, “দিন দশকের মধ্যে আমার গন্তব্য নিয়ে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। এটা আমি নিশ্চিত করতে পারব।”

জামাল আরও বলেন, “এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়, অন্য কারোর সিদ্ধান্ত। তবে আমি চেষ্টা করেছি।”

এদিকে, জামাল ভূইয়ার জন্য ছয় নম্বর জার্সি রেখেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন, আর আপাতত তিনি এএফসি এ লাইসেন্স কোর্সে মনোযোগ দিয়েছেন। বাংলাদেশের ফুটবল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তার আশা, মেহেদী নাইমদের মতো নতুন প্রজন্ম সামনে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *