বাংলাদেশ ক্রিকেটের একসময়ের বড় ভরসার নাম ছিলেন নাসির হোসেন। ব্যাট হাতে লোয়ার মিডল অর্ডারে ম্যাচ শেষ করার দুর্দান্ত ক্ষমতা এবং বল হাতে কার্যকর অফ ব্রেক স্পিন—দুই দিক থেকেই দলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতেন তিনি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি—সব ফরম্যাটেই ছিলেন নিয়মিত মুখ। কিন্তু গত প্রায় সাত বছর ধরে নেই দলের আশেপাশেও।
২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল এই অলরাউন্ডারের। তবে মাত্র সাত বছরের মাথায় থেমে যায় তার জাতীয় দলের ক্যারিয়ার। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ দলের হয়ে শেষবার খেলেছেন নাসির। তারপর থেকে আর দেখা যায়নি লাল-সবুজ জার্সিতে।
সম্প্রতি বিডিক্রিকটাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেন নাসির। জানালেন, তার ক্যারিয়ার যেন অসমাপ্ত এক অধ্যায়, তবে সেটিকে নিয়ে তার তেমন কোনো আফসোস নেই।
নাসির বলেন, “আফসোস ঠিক তেমন হয় না। তবে আমি যতটুকু সুযোগ পেয়েছি এর চেয়ে আরও বেশি সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল আমার। আমি বের হওয়ার পর অনেক খেলোয়াড় আছে যারা হয়তো আরও বেশি সুযোগ পেয়েছে। এটা সবার জন্য সমান হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু সেটা হয়নি।”
তবে কাউকে দোষারোপ করছেন না বলেও স্পষ্ট জানান তিনি, “যেটা আপনার কপালে আছে, রিজিকে আছে – সেটাই হবে। আমি এটা নিয়ে কাউকে দোষারোপ করি না। আমার কারো সাথেই কোনো সমস্যা হয়নি।”
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও দেন নাসির। তার মতে একটি নির্বাচক প্যানেল দুই বছরের বেশি থাকা উচিত না।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, নির্বাচক প্যানেল দুই বছর পর পর পরিবর্তন হওয়া উচিত। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এটা হয়। আজকে আপনার চোখে যাকে খারাপ লাগছে, আরেকজনের চোখে সে ভালো খেলোয়াড় হতে পারে। সুযোগ সবারই সমান পাওয়া উচিত।”
বাংলাদেশের নির্বাচক প্যানেলের ব্যাপারে নাসির আরো বলেন, “বাংলাদেশেও (দুই বছর পরপর) পরিবর্তন হওয়া উচিত। কারণ, আপনার চোখে আজকে যাকে খারাপ লাগছে, আরেকজনের চোখে তাকে ভালো লাগতে পারে। সুযোগ সবারই সমান পাওয়া উচিত।”
দল থেকে ছিটকে পড়ার পর জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ না পেলেও, নাসির হোসেন এখনো বিশ্বাস করেন—সঠিক মূল্যায়ন ও সমান সুযোগের ভিত্তিতে একজন খেলোয়াড়ের প্রকৃত সামর্থ্য উঠে আসা সম্ভব।