সর্বশেষ

বিসিবির সমালোচনায় তামিম, নিতে চান দায়িত্ব

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নতুন সংস্করণ নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বকেয়া রাখার ঘটনা নিয়ে চলছে সমালোচনা। দুর্বার রাজশাহী ফ্র্যাঞ্চাইজির আর্থিক দুর্বলতা এবং খেলোয়াড়দের অর্থ পরিশোধে ব্যর্থতা আলোচনার কেন্দ্রে। এই পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিবি) কাঠগড়ায় তুলেছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।ক্রিকেট বই

ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্বাচনে বিসিবির গাফিলতি

ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলতে নামার পর সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘আমি চাই বিপিএল আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। কিন্তু যখন নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তখন যথাযথ যাচাই-বাছাই জরুরি। পারিশ্রমিক পরিশোধের সক্ষমতা না থাকলে কেন তাদের দল পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হলো?’

তিনি আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়রা মাঠে পারফর্ম করছে, কিন্তু তাদের প্রাপ্য অর্থ নিয়ে দর কষাকষি হচ্ছে। অতীতে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ পরিশোধের কথা থাকলেও, শেষে ২৫ শতাংশ দিয়ে মীমাংসা করা হয়। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

ক্রিকেটারদের দুর্দশা ও তামিমের সমাধান

বিপিএলে রাজশাহীর খেলোয়াড়রা কঠিন সময় পার করছেন। নিজেদের পকেট থেকে খরচ চালিয়ে খেলতে হচ্ছে তাদের। লিগ পর্ব প্রায় শেষ, কিন্তু অর্থপ্রাপ্তি হয়নি। বিসিবি ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে সময় বেঁধে দিয়েছে, তবে সমাধান এখনও অনিশ্চিত।

এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা শুধু বিপিএলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করে না, দেশের ক্রিকেটকেও নিচে নামিয়ে দেয়। অনেক বিদেশি ক্রিকেটার এখানে খেলতে আসতে চায়, কিন্তু এমন অনিয়ম দেখলে তারা পিছিয়ে যাবে। তাই, ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্বাচনে আরও সতর্কতা প্রয়োজন।’

এ সমস্যা সমাধানে তামিমের নতুন প্রস্তাব, ‘ড্রাফটের বাইরের খেলোয়াড়দের চুক্তিও বিসিবির নজরদারিতে আসা উচিত। চুক্তিপত্রের কপি বিসিবির কাছে থাকলে তারা অন্তত জানতে পারবে কে কত পারিশ্রমিক পাচ্ছে এবং নির্দিষ্ট কোনো সমস্যায় পদক্ষেপ নিতে পারবে।’

ক্রিকেট উন্নয়নে তামিমের আগ্রহ

তামিমকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভবিষ্যতে কি তিনি নিজেই এসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে চান? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি শুধু চাই, বিপিএল আরও ভালোভাবে পরিচালিত হোক। এটি কেবল একটি দিক, আরও অনেক জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন। ইনশাআল্লাহ্‌, আমি ক্রিকেট উন্নয়নের যেকোনো উদ্যোগে যুক্ত হতে আগ্রহী।’

তার এই বক্তব্য বিসিবির জন্য এক বড় বার্তা। এখন দেখার বিষয়, বোর্ড তার পরামর্শকে কতটা গুরুত্ব দেয় এবং বাস্তবে কী পদক্ষেপ নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *