সর্বশেষ

তাসকিনের ‘স্বপ্ন’ ফিকে করে দিলেন লখনৌ কোচ ল্যাঙ্গার

লখনৌ দলে একাধিক ইনজুরির সুবাদে আইপিএলের এবারের আসরে কিছুটা স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। স্বপ্নের উৎস ছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ নিজেই। সাংবাদিকদের বলেছিলেন, লখনৌতে একাধিক পেসারের ইনজুরির সুবাদে তাকে বিবেচনায় রেখেছে দলটি। তবে সেই স্বপ্ন ফিকে হতে সময় লাগেনি। অন্তত দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সবশেষ সংবাদ সম্মেলনের পর স্বপ্ন না দেখাই হয়ত উত্তম।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচের পর নিজ দলের পেসারদের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছিলেন ল্যাঙ্গার। আর সেই অনুযায়ী, এবারের আসরে তাসকিনের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গতকালের ম্যাচের পর ল্যাঙ্গার শুরুতেই বলেছিলেন, ‘এনসিএ আমাদের জন্য দারুণ কাজ করেছে। তাদের কৃতিত্ব দিতেই হয়।’

ভারতের ক্রিকেটের খেলোয়াড়দের উত্থান কিংবা পুনর্বাসন, দুই ক্ষেত্রেই এনসিএ বা ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির গুরুত্বটা ব্যাপক। বিশেষ করে ইনজুরি আক্রান্তদের মাঠে ফেরানোর কাজটা মূলত বেঙ্গালুরুর এই প্রতিষ্ঠানের। সম্প্রতি বিসিসিআই সেন্টার অব এক্সিলেন্স নামকরণ করা হলেও এনসিএ নামেই এখন পর্যন্ত সবার কাছে পরিচিত এটি।

সবশেষ তাদের এই প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে মাঠে ফেরার সবুজ সংকেত পেয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। এর আগে এখান থেকেই ছাড়পত্র পেয়েই মাঠে ফিরেছিলেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের আভেশ খান। আর এই মুহূর্তে অপেক্ষায় আছেন লখনৌর-ই আরেক পেসার মায়াঙ্ক যাদব। দলের দুই ভরসার অস্ত্রকে ফিরে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই বেশ উচ্ছ্বসিত লখনৌ কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার।

সেইসঙ্গে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে লখনৌ পেয়েছে তাদের বড় অস্ত্রকে, সেই এনসিএ-কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাবেক এই অজি গ্রেট, ‘এনসিএ-কে কৃতিত্ব দিতেই হয় কারণ তারাই আমাদের আভেশ খান আর আকাশ দীপকে মাঠে ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের খেলোয়াড়দের মাঠে ফেরাতে যা করেছে তার জন্য কৃতজ্ঞ। আর এখন আশা করছি মায়াঙ্ককেও ফেরাবে।’

মায়াঙ্ক যাদব সম্পর্কে লখনৌ কোচ বলেন, ‘আমি যা জানি, সে (মায়াঙ্ক) এনসিএ-তে কঠোর পরিশ্রম করছে। আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) তার বোলিং ফুটেজ দেখেছি। আর সে এখন ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত দিতে পারছে। যার অর্থ মায়াঙ্ক উঠতে পারছে আর দৌড়াচ্ছে ভালোই। এটা আইপিএল এবং ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য দারুণ খবর।’

ল্যাঙ্গার যেটাকে ভালো খবর বলছেন, সেটাই হয়ত বাংলাদেশ ক্রিকেট আর তাসকিন ভক্তদের আশার আলো পুরোপুরি নিভিয়ে দিয়েছে। এর আগে মহসিন খানের পরিবর্তে লখনৌ দলে টেনেছিল শার্দুল ঠাকুরকে। এনসিএ থেকে মাঠে ফিরেছেন আকাশ দীপ এবং আভেশ খান। আর মায়াঙ্ক যাদব মাঠে ফেরার সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায়। লখনৌকে ঘিরে তাসকিন গুঞ্জনের ইতিটাও হয়ত হচ্ছে এখানেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *