লুক উডকে দলে নেয়া হয়েছিল নাহিদ রানার বদলি হিসেবে। বাংলাদেশি পেসারকে না পেয়েই ইংলিশ তারকাকে দলে টানে পেশোয়ার জালমি। আর সেই সুযোগটা নষ্ট করেননি লুক উড। এখন পর্যন্ত পেশোয়ারের আস্থার প্রতিদান ভালোভাবেই দিয়েছেন তিনি।
জিম্বাবুয়ে টেস্ট শেষ করে পিএসএলে উড়াল দিলেও লুক উডকে সরিয়ে প্রথম একাদশে ঢোকা হয়নি নাহিদ রানার। বরং এখন পর্যন্ত দলের জয়-পরাজয়টা বেঞ্চ থেকেই দেখতে হচ্ছে তাকে। দল হিসেবেও অবশ্য পেশোয়ারের পারফরম্যান্স খুব একটা সুখকর না। শেষ ৫ ম্যাচে ৩ জয় আর ২ হার। পয়েন্ট টেবিলেও তারা শীর্ষ চারের বাইরে।
এমন অবস্থায় নাহিদ রানা কি সহসাই স্কোয়াডে যুক্ত হবেন? এমন প্রশ্নের উত্তর দেয়াটাও খানিক কঠিন। লুক উডকে নিয়ে পেশোয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট বেশ সন্তুষ্ট। এরইমাঝে পারিবারিক কারণে নিজ দেশে চলে যাওয়া জর্জ লিন্ডের বিপরীতে উডকে নিবন্ধন করেছে পেশোয়ার। স্বাভাবিকভাবেই তাই কিছুটা আশার আলো দেখা দিতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্তদের মাঝে।
কিন্তু আলজারি জোসেফ আর লুক উডের পেস বোলিংয়ের ওপরেই যেন পেশোয়ারের আস্থা। ব্যাটিং বিভাগে মিচেল ওয়েন অবশ্য থাকছেন। চতুর্থ বিদাশির প্রশ্নে কখনো টম-কহলার ক্যাডমোর আবার কখনো ম্যাক্স ব্রায়ান্টকে দেখা গিয়েছে স্কোয়াডে। নাহিদ রানার একাদশে ঢোকার রাস্তাটা কঠিন হয়ে উঠছে মূলত ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের এই ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়ে।
৭ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে আপাতত প্লে-অফ থেকে খানিকটা দূরেই অবস্থান করছে পেশোয়ার জালমি। তাদের হাতে বাকি আছে আর ৩ ম্যাচ। এর সবকটিতেই জয় দরকার তাদের। মুলতান, করাচি এবং লাহোরের বিপক্ষে এই তিন ম্যাচে নাহিদ রানা জায়গা পাবেন কি না, সেটা নির্ভর করবে বাকিদের পারফরম্যান্সের ওপর।
বোলিং কম্বিনেশন ভাঙতে না চাওয়া পেশোয়ারের স্কোয়াডে নাহিদ রানার যুক্ত হওয়ার রাস্তাটা তাই আপাতদৃষ্টিতে খানিক কঠিনই বলা চলে।