সর্বশেষ

মাত্র ৬ ম্যাচ খেলেই সেরা খোলোয়াড় বনে গেলেন রিশাদ, ধারের কাছেও নেই কেউ

খেলেছেন মাত্র ৬টি ম্যাচ। মাঝখানে জাতীয় দলের জন্য পিএসএল ছেড়েছেন। আবার যেসব ম্যাচে দলের সাথে ছিলেন, সব ম্যাচে একাদশেও সুযোগ হয়নি। তা সত্ত্বেও পিএসএলের উইকেটশিকারিদের তালিকায় শীর্ষ দশে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন। ‘গেম চেঞ্জার’ রিশাদ শীর্ষ ১০ জন বোলারের মধ্যে গড় আর স্ট্রাইক রেটের দিক দিয়েও সবার সেরা।

শীর্ষ ১০ উইকেট শিকারির মধ্যে শুধু রিশাদ ও জেসন হোল্ডারই ১০টির কম ম্যাচ খেলেছেন। হোল্ডার ম্যাচ খেলেছেন ৮টি। রিশাদ ৬ ম্যাচ খেলেছেন, যদিও বল করেছেন ‘৫ ম্যাচের’; অর্থাৎ ২০ ওভার। তাতেই করেছেন বাজিমাত।

৬ ইনিংসে ১২০ বল করে ১৮২ রান খরচ করলেও রিশাদ শিকার করেছেন ১২ উইকেট। গড় ১৫.১৬ রান, অর্থাৎ প্রতি সোয়া ১৫ রানেরও কম রান খরচ করার বিনিময়ে একটি করে উইকেট বাগিয়ে নিয়েছেন। শীর্ষ দশে তো বটেই, শীর্ষ ১৭ জন বোলারের মধ্যেও এত ভালো গড় নেই আর কারও।

এছাড়া রিশাদের স্ট্রাইক রেট ১০। অর্থাৎ প্রতি ১০ বল করার ফাঁকে ফাঁকে গড়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের এই লেগ স্পিনার। টেবিলে ২৩তম অবস্থানে থাকা সালমান মির্জা ৩ ম্যাচে ৭ উইকেট শিকার করেছেন। শীর্ষ ৪৫-এ অন্তত ১০ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে রিশাদ ও সালমানের স্ট্রাইক রেটই দশের ভেতরে।

শীর্ষ উইকেটশিকারিদের মধ্যে সবার ওপরে আছেন করাচি কিংসের হাসান আলী ও আব্বাস আফ্রিদি। দুজনই ১৭ উইকেট করে শিকার করেছেন, তবে তাদের দল ছিটকে গেছে টুর্নামেন্ট থেকে। লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদি শিকার করেছেন ১৬ উইকেট। এছাড়া কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের আবরার আহমেদ ও ফাহিম আশরাফও ১৬টি করে উইকেট শিকার করেছেন।

ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের জেসন হোল্ডারের মতো ১৫ উইকেট আছে রিশাদ-শাহীনদের সতীর্থ হারিস রউফের। ১৪টি করে উইকেট আছে ইসলামাবাদের শাদাব খান ও ইমাদ ওয়াসিমের। রিশাদের সামনে আছে তাদেরকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ। তবে রিশাদের মতোই ১২টি করে উইকেট আছে খুররম শাহজাদ ও মোহাম্মদ আমিরের। ফাইনালে তারাই লাহোরের প্রতিপক্ষ। রিশাদকে তাই তারা টপকে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *