সাকিব আল হাসান চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে সেই চলচ্চিত্র আলোর মুখ দেখেনি। কিন্তু অভিনয় যে করেছিলেন তার প্রমাণ রয়েছে। সাকিব সংবাদ মাধ্যমের কাছে অস্বীকার করায় এই সিনেমা আর আলোর মুখ দেখেনি।
জানা গেছে, শহরের পাঁচ তরুণ-তরুণীর গল্প নিয়ে এক যুগ আগে ‘সব কিছু পেছন ফেলে’ নামের সিনেমা নির্মাণ শুরু করেন রাজিবুল হোসেন। এই সিনেমায় অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। কক্সবাজারে শুটিংয়েও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে সংবাদ প্রকাশ হলে অভিনয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন সাকিব। বিপদে পড়েন পরিচালক, থেমে যায় শুটিং। শেষ পর্যন্ত সিনেমার কাজই বন্ধ করে দেন নির্মাতা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নির্মাতা জানালেন, সাকিবের মিথ্যাচারের কারণেই শেষ করা যায়নি সব কিছু পেছন ফেলে সিনেমাটি।
নির্মাতা রাজিবুল হোসেন বলেন, এই সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল অনেক স্বপ্ন নিয়ে। সাকিব আল হাসান শুটিং করেছেন, ক্যামেরার সামনে অভিনয় করেছেন, ক্ল্যাপস্টিক ও প্রফেশনাল রেকর্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে আমরা দৃশ্য ধারণ সম্পন্ন করি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি সিনেমায় অভিনয় করার বিষয়টি অস্বীকার করলে পুরো প্রজেক্টটা অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।
নির্মাতা আরও বলেন, সাকিব আল হাসানের মিথ্যাচার নির্মাতা হিসেবে আমাকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, তেমনি এটা ছিল একটি শিল্পভিত্তিক কাজের প্রতি তার অসম্মান। আমি চাইলে তাঁকে ছাড়া সিনেমাটি শেষ করতে পারতাম, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি একটি অসম্পূর্ণ সত্য দিয়ে পূর্ণ সিনেমা নির্মাণ করা যায় না।
পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমার প্রযোজকও ছিলেন রাজিবুল হোসেন। স্পনসর করেছিল ফুজিফিল্ম বাংলাদেশ। তাদের মাধ্যমেই সাকিব এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হন বলে জানান নির্মাতা।
রাজিবুল হোসেন বলেন, সাকিব আল হাসান তখন ফুজিফিল্মের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। ফুজির সঙ্গে সাকিবের চুক্তি ছিল বছরের সুবিধা অনুযায়ী ৮ দিন তিনি তাদের সময় দেবে। সিনেমা নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে ফুজিফিল্মস আমাদের জানায়, সিনেমার জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেবে তারা, সেই সঙ্গে সাকিব আল হাসান অভিনয় করবেন সিনেমায়।