বিশ্বকাপে পাওলো দিবালা বলতে গেলে সুযোগই পাননি আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামার। চোট নিয়ে কাতার গেলেও বিশ্বকাপের মধ্যেই চোট থেকে সেরে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও কোচ লিওনেল স্কালোনি তাঁকে খেলাননি। তাঁর কৌশলের সঙ্গে দিবালা মেলেননি দেখেই প্রায় গোটা বিশ্বকাপই আর্জেন্টিনার ডাগ আউটে বসে কেটেছে তাঁর।
তবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে কিছু সময় খেলার সুযোগ মিলেছিল তাঁর। টাইব্রেকারে গোল করে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জয়েও অবদান রেখেছেন তিনি। আর্জেন্টিনা জাতীয় দল ও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে বাংলাদেশকে খেলার তেমন সুযোগ না হলেও দিবালা বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার।
ছুটি কাটিয়ে তিনি তাঁর ক্লাব এএস রোমায় ফিরেছেন বিশ্বজয়ী ফুটবলার হিসেবেই। ক্লাবে ফিরেই দারুণ মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার। নিজেদের বিশ্বকাপ জয়ের পদক দিয়েছেন রোমার জাদুঘরে। এখানে ঐতিহাসিক অন্যান্য স্মারকের সঙ্গে সাধারণ ভ্রমণকারীরা দেখতে পাবেন দিবালার বিশ্বকাপ পদকটিও।
পদকটি অবশ্য পাকাপাকিভাবে দিয়ে দেননি দিবালা। এটি তিনি রোমার জাদুঘরে দিয়েছেন ‘ধার’ হিসেবেই। ক্লাব ছাড়লে ক্লাব কর্তৃপক্ষ পদকটি দিবালাকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য। এ ছাড়াও যেকোনো সময়ই এটি ফেরত নিতে পারবেন তিনি। দিবালা ক্লাবে ফিরেছেন বেশ আগেই।
বিশ্বকাপ শেষে আর্জেন্টিনার অন্যান্য খেলোয়াড় যেমন উৎসবে মেতে নিজেদের ক্লাবে একটু দেরি করে ফিরেছেন, দিবালা তা করেননি। বরং ক্লাবের প্রয়োজনে নিজের ছুটি সংক্ষিপ্ত করেই ফিরেছেন তিনি। বেশ দ্রুতই ক্লাবের হয়ে অনুশীলনটাও শুরু করে দিয়েছেন।
গত জুলাই মাসে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে জুভেন্টাস থেকে রোমায় নাম লেখান দিবালা। রোমায় তাঁকে দারুণভাবে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল। পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দিন হাজার হাজার সমর্থক জড়ো হয়ে দিবালাকে বরণ করেছিলেন। বিশ্বকাপ পদক জাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য দিয়ে ক্লাবের প্রতি নিজের ভালোবাসারই প্রমাণ দিলেন। বিশ্বকাপের আগে রোমার জার্সিতে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন দিবালা। গোল করেছেন ৭টি।