রান তাড়ার প্রায় অর্ধেক রানই করলেন একজন ব্যাটার। এমন ম্যাচে তাই সহজ জয়ই পাওয়ার কথা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা দলের। তবে চট্টগ্রামে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সেই কাজটা করতে পারেনি খুলনা টাইগার্স।
স্পষ্ট করে বললে ওপেনিংয়ে নেমে শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হওয়া মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
জেতাতে নেমে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে দলের ‘হারই’ নিশ্চিত করেছেন তিনি। ৪ ছয় ও ৪ চারের সাজানো ইনিংসটি খেলতে যে ৫৯ বল খেলেছেন তিনি। ১ বল কম ১০ ওভার খেলেছেন বাঁহাতি ব্যাটার। ইনিংসের অর্ধেক ওভারই খেলেছেন তিনি।
শেষ দিকে অবশ্য ৬ বলে ২৫ রানের সমীকরণ মেলানোর দারুণ চেষ্টা করেছিলেন নাঈম। রিপন মণ্ডলের করা প্রথম বলে কোনো রান নিতে না পারলেও পর পর দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের সমীকরণটা করেছিলেন ৩ বলে ১৩ রানের। তবে চতুর্থ বলে স্লিপে ডেভিড মালানের দারুন এক ক্যাচে তার ‘ম্যারাথন’ ইনিংসের ‘মৃত্যু’ হয়। শেষ দুই বলে আমের জামাল ৫ রান নিলে পরাজয়ের ব্যবধানটা ৭ রানে নেমে আসে।
অথচ, ম্যাচটায় সহজ জয়ই পাওয়ার কথা ছিল খুলনার। দলীয় ৬ রানে রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার ইমরুল কায়েস আউট হলেও দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়েন নাঈম-মেহেদী হাসান মিরাজ। সতীর্থকে নিয়ে ৫৯ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন খুলনার অধিনায়ক মিরাজ। তবে ৩৩ রানে মিরাজ আউট হওয়ার পর চাপে পড়ে খুলনা। শেষ দিকে ১৭ বলে ২৭ রানের এক ইনিংস খেলে ম্যাচটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই নিয়েছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
কিন্তু আজ যেন শম্ভুক গতির ইনিংস খেলতে ‘পণ’ করেই নেমেছিলেন নাঈম। যার ফল শেষে বরিশালের কাছে ৭ রানের হার।