নাহিদ রানাকে বোল্ড করে ম্যাচের শেষ টানেন দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। ছবি : মীর ফরিদ, চট্টগ্রাম থেকে
অবশেষ জয়রথ থামল রংপুর রাইডার্সের। এবারের বিপিএলে টানা ৮ ম্যাচ জয়ী রাইডার্সের জয়রথ থামিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। নবম ম্যাচে এসে ২৪ রানের প্রথম হার দেখেছে রংপুর।
অন্যদিকে সর্বশেষ দুই ম্যাচ হারা রাজশাহীর এটি চতুর্থ জয়।
এর আগে হারার আগে লড়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। যতক্ষণ ব্যাটিংয়ে ছিলেন ততক্ষণ দলের জয়ের সলতেটা জ্বালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ১৭তম ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ৪১ রানে আউট হওয়ার পরেই রংপুরের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। শেষ দিকে ২৩ রানের ইনিংস খেলে শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটুকু কমিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এর আগে ১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রংপুরের শুরুটাও হয় ধাক্কায়। দলীয় ১৫ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। সেখান থেকে তিনে নামা সাইফ উদ্দিন শুরুর ধাক্কা সামলান। তবে ৪৩ রানে আউট হওয়ার পর আবারো ধাক্কা খায় রংপুর।
শেষ দিকে রংপুরের অধিনায়ক সোহান চেষ্টা করেও হার আর এড়াতেন পারেননি। তাসকিন আহমেদের অধিনায়কত্বে প্রথম জয় পাওয়া রাজশাহীর হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রায়ান বার্ল। ব্যাটিংয়ে ‘গোল্ডেন ডাক’ মারলেও ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর সেরা বোলার জিম্বাবুয়ের লেগ স্পিনারই। ম্যাচসেরার স্বীকৃতিও পেয়েছেন তিনি।
এর আগে সর্বশেষ দুই ম্যাচ হারা রাজশাহী ইয়াসির আলীর রাব্বির ফিফটিতে ৯ উইকেটে ১৭০ রানের সংগ্রহ পায়।
দলের সংগ্রহে ইয়াসির আলিকে চতুর্থ উইকেটে যোগ্য সঙ্গ দেন এনামুল হক বিজয়। দুজনে মিলে ৭৬ রান যোগ করেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন ইয়াসির আলি। ১৮৭.৬৭ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ ছক্কা ও ২ চারে।
অন্যদিকে ৩৪ রান করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার বিজয়। ২০৫.২৬ স্ট্রাইকরেটে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দুর্দান্ত অবদান রাখেন সাব্বির হোসেনও। রংপুরের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পাকিস্তানি খুশদিল শাহ ও আকিফ জাভেদ।