জয়ের জন্য শেষ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ৭ রান। ওভারের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে স্কোর লেভেল করেন আজমত। তিন বল হাতে রেখে চার উইকেটের জয় পায় রংপুর। স্বল্প রানের ম্যাচও জমিয়ে তুলেছিল খুলনা টাইগার্স ও রংপুর টাইগার্স। কিন্তু শেষ দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে খুলনার বোলাররা।
আগে ব্যাট করে খুলনা সংগ্রহ করেছিল ১৩০ রান। তিন বল ও চার উইকেট হাতে রেখে জয় পায় রংপুর। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করতে নামে রংপুর রাইডার্স। শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা। তামিম ইকবাল এখনো ফর্মে ফিরতে পারেনি। ব্যর্থ হয়েছেন আরেক ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহানও। তামিম ৪ বলে ১ রান করে বোলার আজমতউল্লাহর বলে তার হাতেই ক্যাচ দেন। সোহান করেন ১১ বলে ৪ রান। শারজিল খানও আছেন ব্যর্থতার বৃত্তে।
১২ বলে ১২ রান করে বিদায় নেন তিনি। ১৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে খুলনা। পাওয়ারপ্লেতে তিনটি উইকেট হারিয়ে তোলে মাত্র ২৪ রান। চতুর্থ উইকেটে ৪৮ বলে ৬১ রানের জুটি গড়েন আজম খান ও ইয়াসির আলি। ইয়াসিরকে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন রবিউল হক। খুলনা অধিনায়ক ইয়াসির করেন ২২ বলে ২৫ রান। দুইটি ছক্কা হাঁকালেও দেখা পাননি কোনো চারের। একই ওভারে সাব্বির রহমানকেও শিকার করেন রবিউল।
সাব্বির করেন ২ বলে ১ রান। পরের ওভারে বিদায় নেন আজম খান। বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসানের শিকার হওয়ার আগে আজম করেন ২৩ বলে ৩৪ রান। তার ব্যাট থেকে আসে চারটি চার ও একটি ছক্কা। আজমের পরপরই বিদায় নেন আমাদ বাট। ১৮ বল ও ১৫ রানের ব্যবধানে আরো চারটি উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা।
৯১ রানে খুলনা সাত উইকেট হারানোর পর আবার হাল ধরেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাহিদুল ইসলাম। তারা তিন বলের মধ্যে আউট হয়ে গেলে আর এগোতে পারেনি খুলনা। সাইফ ১৮ বলে ২২ রান ও নাহিদুল ৯ বলে ১৫ রান করেন। দুই বল বাকি থাকতেই খুলনা অলআউট হয় ১৩০ রানে। রংপুরের পক্ষে ক্যারিয়ার বোলিংয়ে চারটি উইকেট নেন রবিউল হক। তিনি খরচ করেন মাত্র ২২ রান। এছাড়া দুইটি করে উইকেট পান আজমত, রাকিবুল ও হাসান মাহমুদ।
হাসান ৩.৪ ওভারে খরচ করেন ২২ রান। জবাব দিতে নেমে রংপুরও শুরুতেই কোনঠাসা হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় ওভারে এসেই নিজের প্রথম বলে রনি তালুকদারকে বোল্ড করেন সাইফউদ্দিন। পঞ্চম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন ওয়াহাব রিয়াজ। শেখ মেহেদী হাসান ও সাইম আইয়ুবকে সাজঘরে পাঠান তিনি। ৩১ রানে তিন উইকেট হারায় রংপুর।
চতুর্থ উইকেটে নাঈম শেখ ও শোয়েব মালিকের ২৭ রানের জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। নাঈম আউট হন ২২ বলে ২১ রান করে। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ম্যাচ কঠিন করে দিয়ে বিদায় নেন। ১৮ বলে ১০ রান করে তিনিও নাসুমের বলে আউট হন।
জয়ের জন্য শেষ চার ওভারে রংপুরের প্রয়োজন দাঁড়ায় ৪১ রান ও হাতে থাকে পাঁচ উইকেট। চার বলের ব্যবধানে রংপুরকে ২৩ রান এনে দেন শোয়েব মালিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। ১৯তম ওভারে শোয়েব মালিক আউট হয়ে গেলে খেলা আবার জমে ওঠে। সাইফউদ্দিনের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে মালিক করেন ৩৬ বলে ৪৪ রান। জয়ের জন্য শেষ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ৭ রান। ওভারের দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে স্কোর লেভেল করেন আজমত। তিন বল হাতে রেখে চার উইকেটের জয় পায় রংপুর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইগার্স ১৩০/১০ (১৯.৪ ওভার) (আজম ৩৪, ইয়াসির ২৫, সাইফউদ্দিন ২২, নাহিদুল ১৫, তামিম ১; রবিউল ৪/২২, হাসান ২/২২, রাকিবুল ২/২২, আজমত ২/৪১)
রংপুর রাইডার্স ১৩১/৬ (১৯.৩ ওভার) (মালিক ৪৪, নাঈম ২১; নাসুম ২/২১, রিয়াজ ২/২৪ সাইফ ২/৩৫)