দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে লড়াই চালিয়ে মারা গেলেন ২৮ বছর বয়সী ভারতীয় পেসার সিদ্ধার্থ শর্মা। ভেন্টিলেশনে থেকে শেষ পর্যন্ত ‘মাল্টি অর্গ্যান ফেইলিউর’ তাকে ঠেলে দেয় মৃত্যুর পথে।
হিমাচল প্রদেশের এই পেসারের অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে ভারতীয় ক্রিকেটে। রঞ্জি ট্রফিতে সবশেষ আসরে ২ ম্যাচ খেলে ১২ উইকেট নেন সিদ্ধার্থ। গেল ২০ ডিসেম্বর বাংলার বিপক্ষে ইডেন গার্ডেনে প্রথমবার ৫ উইকেট পাওয়ার ম্যাচটিই হয়ে রইল তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
এরপর ৩১ ডিসেম্বর অনুশীলনে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হলে সেদিনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার সাবেক প্রধান ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল স্পোর্টস্টারকে বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
সে ভালোই ছিল, রঞ্জিতে দুই ম্যাচে এবার দারুণ করেছে। বরোদার বিপক্ ম্যাচের আগে অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা যায়, তার ক্রিয়েটিনিন লেভেল বেশ উঁচুতে। এরপর তার কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গ আক্রান্ত হতে থাকে।
চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি তাকে।’ অরুণ ধুমাল যোগ করেন, ‘আমরা নিয়মিত ওর খোঁজ রাখছিলাম। মাঝে একদিন উন্নতির আভাস দেখা যায়। আমরা আশাবাদী ছিলাম যে সে কাটিয়ে উঠবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাল্টি অর্গ্যান ফেইলিউর হয়ে যায়।
হিমাচল প্রদেশের জন্য সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার ছিল সে। পরিবার ও কাছের মানুষদের অনেক স্বপ্ন ছিল তাকে নিয়ে। কিন্তু আমরা বাঁচাতে পারলাম না তাকে।’ প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ৬ ম্যাচ খেলে সিদ্ধার্থের উইকেট ২৫টি, ৬টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে উইকেট ৮টি। ২০১২-২২ মৌসুমে বিজয় হাজারে ট্রফি জয়ী হিমাচল দলের সদস্য ছিলেন তিনি।