টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন যুক্তরাষ্ট্রে। ব্যাট হাতে খারাপ সময় যাচ্ছে বাংলাদেশের। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হার এবং ভারতের কাছে বিশাল পরাজয়ের পর বাংলাদেশী ক্রিকেট ভক্তরা হতাশ হয়ে পড়ে। এতে যোগ হয়েছে লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকারের অনানুষ্ঠানিক উদ্বেগ।
তবে এসব শঙ্কার মাঝে বাংলাদেশের ভরসা মাহমুদুল্লাহ রিয়াজ। বয়স হওয়া সত্ত্বেও এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এখনও দলের মিডল অর্ডারের আস্থা রেখেছেন। বিসিবি প্রতিনিয়ত বিশ্বকাপে খেলতে আসা ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করে। বুধবারের এপিসোডে উপস্থিত ছিলেন রিয়াদ।
বিসিবির ক্যামেরার সামনে নিজের সম্পর্কে অনেক কিছুই জানালেন তিনি। সেখানে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে না থাকার বিষয়ে মুখ খুললেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। যদিও তিনি ২০২১ সালে অধিনায়ক ছিলেন, তিনি পরবর্তী বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়েছিলেন। এবং তারপরে এই মৌসুমে তিনি আরও একটি সুযোগ পেয়েছেন।
বিশ্বকাপের বাদ পড়া নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যখন আমি ছিলাম না, খারাপ লেগেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল, দলে হয়তো থাকতে পারতাম। কিন্তু হয়নি এবং ওটার জন্য আমার কোনো কষ্টও নেই। আমি সব সময়ই আলহামদুলিল্লাহ, যেটা বলি দলের জন্য যতটুকুই আমি করতে পারি, সেটা আমার উপস্থিতি দিয়ে হোক, পারফরম্যান্স দিয়ে হোক, আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে হোক, আমি আমার সর্বোচ্চটাই সব সময় নিংড়ে দিই।
বাংলাদেশ এখনো জিতেনি বড় কোনো ট্রফি। এর মাঝে ভাগ্যের কিছুটা সহায়তাও খুঁজছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘ট্রফি জিততে আমার মনে হয় ভাগ্যেরও একটু সহায়তা লাগে। আমরা কয়েকটি মেগা ইভেন্টে হয়তো খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পারিনি। এখন আরেকটি সুযোগ সামনে। সমর্থন আছে ইনশা আল্লাহ। যা যা করা সম্ভব আমরা করব।
নিজের ক্রিকেটে আসার পেছনের গল্প বলতে গিয়ে বড় ভাইকে স্মরণ করলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমার আপন ভাই, উনি ক্রিকেট খেলতেন। ওনার হাত ধরেই আমার পথচলা। আমার ছোটবেলার পথচলা শুরু। আমার ক্রিকেটের হাতেখড়ি—সবকিছুই উনার মাধ্যমে। ভাইয়াই সব সময় আমার অনুপ্রেরণা ছিল।
ভালো লাগার খেলোয়াড়দের কথা বলতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘সাঈদ আনোয়ারের খেলা খুব ভালো লাগত, যখন আস্তে আস্তে খেলা বুঝতে শুরু করেছি। এমএস ধোনির খেলা খুব ভালো লাগে। আমি তার অনেক বড়ভক্ত। উনার টেম্পারামেন্ট এবং শান্ত মেজাজ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এই জিনিসগুলো আমার খুব ভালো লাগে।