১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বে ওঠার পরও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নেওয়া পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ক্যাপ্টেন শান্তর বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হয়। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন তিনি।
শান্তর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ তাসকিন কেন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে বাদ পড়েছেন। টানা ১৯ রানে উইকেট নেওয়া তাসকিনকে সরানোর কারণ কী? দাবির এই তীর এখন শান্তার দিকে। কারণ কোচ হাথুরু সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত ক্যাপ্টেন শান্তর।
দ্বিতীয় অভিযোগ হলো, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচে শরিফুল কেন অংশ নেননি। ভারত ও আফগানিস্তানের ওপেনাররা সবাই ডানহাতি। শেরিফ সেখানে অতিরিক্ত সাহায্য পেয়েছিলেন। যেখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ডানহাতি ও বাঁ-হাতি কম্বিনেশনের কারণে তৌহিদ হ্রেদিয়াকে ব্যাট করার যৌক্তিকতা দিয়েছেন অধিনায়ক শান্ত। কেন শেরিফ সেখানে খেলা ছিল না. শরিফুল বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়।
তৃতীয় ও গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেমি ফাইনালের সমীকরণ জানার পরও কেন সেমি ফাইনালের জন্য না খেলে ম্যাচ জয়ের জন্য খেললো বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ৫০ রানে অল-আউট হতো তাও ভালো ছিল কিন্ত বাংলাদেশের সেমি ফািইনালের জন্য খেলা উচিৎ ছিল বলে মনে করছেন বিসিবি বোর্ড কর্তরা।
টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক দায়িত্ব থেকে শান্তকে সরিয়ে নিতে চাচ্ছে বিসিবি বোর্ড কর্তারা। ২ জুলাই বোর্ড মিটিংয়ে সব কিছু চুড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে। সেখানে আলোচনা করা হবে কে হতে পারে টি-টোয়েন্টি পরবর্তি অধিনায়ক। যতদুর জানা সেখানে প্রথম যে নামটি আছে সেটি হলো তাসকিন। কেননা তিনি বর্তমানে টি-টোয়েন্টি ক্যাপটেনের দায়িত্ব আছেন। তাই শান্ত’র পর তার কাঁধে উঠছে অধিনায়কের দায়িত্ব।