সর্বশেষ

ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪০৩ রান করে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ!

ঘরোয়া মৌসুম শুরু হতে আরও তিন মাস বাকি এবং এসময় জাতীয় দলের কোনো খেলা নেই। তবে সামনেই রয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান সফর। চারদিনের ম্যাচ খেলতে অস্ট্রেলিয়া গেছে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স দল।

সাদা বলের ক্রিকেটাররা যাবেন ২৮ জুলাই। আসন্ন সফরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৫০ ওভার ও ২০ ওভারের দুটি ম্যাচ খেলবে টাইগার ও এইচপি দল। অবশ্য এই দুই দলই প্রতি বছর ‘অফ সিজনে’ এমন প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে।

তবে দুই দলের মধ্যে প্রথম ৫০ ওভারের ম্যাচটি ভিন্ন ঘটনার জন্ম দেয়। টাইগারদের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে এইচপি দল ৫ উইকেটে ৪০৩ রান! সেঞ্চুরি করা তিন ব্যাটসম্যান হলেন জিশান আলম (৭৮ বলে ১২৭), আফিফ হোসেন (৭৪ বলে ১০৩) এবং আকবর আলী (৭৪ বলে ১০২)। জবাবে টাইগাররা ৪৭.২ ওভারে ২৬৬ রানে অলআউট হয়। ইনজুরি কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর খেলায় ফিরে আসেন আলিস আল ইসলাম এবং ১০ ওভারে ৪৩ রানে ৩ উইকেট নেন।

দুই দলের মধ্যে টাইগার ক্রিকেটাররা স্বাভাবিকভাবেই অভিজ্ঞতায় এগিয়ে। টাইগারদের বোলিং লাইনআপে ছিলেন জাতীয় দলের মেহেদি হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, নাসুম আহমেদ। বলিং করেছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নাসুম আহমেদ, নাহিদ রানাও। এর মধ্যে টাইগারদের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন নাসুম, যিনি ৬ ওভারে ৩৯ রানে ১ উইকেট নেন। কিন্তু অন্যান্য বোলারদের এইচপি ব্যাটসম্যানরা ‘গিফটেড’ করেছিল।

এর আগে মাত্র একবার ৫০ ওভারের ম্যাচে ৪০০-এর বেশি রান করেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৮ উইকেটে ৪০৯ রান করেছিল। সেই ম্যাচটিও হয়েছিল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।

প্রিমিয়ার ক্রিকেট দল আবাহনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর ৪ উইকেটে ৩৯৩ রান। ২০১৭-১৮ মৌসুমে BKSP গ্রাউন্ড নং ৩ এ প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে আবাহনী এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিল। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে, মাহফুজুর রহমান এবং জাকির হাসান লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক ইনিংসে ১২টি ছক্কা মারার ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়েছেন। আজ জিশানের ১২৭ রানের ইনিংসে ১৩টি ছক্কা ছিল।

তবে জিশান বড় আশা নিয়ে খেলছিলেন। ম্যাচ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘উইকেট ভালো ছিল ২০০ রান করার সুযোগ ছিল। ভালো খেলছিলাম। আমি যদি পুরো ইনিংস খেলতে পারতাম, তাহলে ২০০ রান হতো।

বড় রানের পেছনে চট্টগ্রামের ভালো উইকেটের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেছেন জিশান। এই তরুণ মনে করেন, এই ধরনের উইকেটে একটানা খেলে ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরন বদলে যাবে। চারশ রান সব সময় হবে না। তবে তিনশো সাড়ে তিনশো হবে। আর শুরুটা ভালো হলে আজকের মত ভালো শুরু করলাম। আফিফ ভাই এবং শেষ পর্যন্ত আকবর ভাই খুব ভালোভাবে শেষ করলে ভালো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *