কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মাশরাফি বিন মুর্তজা সম্পূর্ণ মৌন ছিলেন। আন্দোলন চলাকালীন তার দলের আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবির মুখেও তিনি কিছু বলেননি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং নড়াইল থেকে আওয়ামী লীগের দুইবারের সংসদ সদস্য মাশরাফির বাড়ি জনতার ক্ষোভের আগুনে পুড়েছে।
তবে বাড়িতে আগুন লাগায় মাশরাফি কোনো ক্ষোভ প্রকাশ করেননি। আজ বুধবার একটি অনলাইন পোর্টালের সাথে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন, নিজের বাড়িতে আগুন লাগায় তিনি কষ্ট পেয়েছেন। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘‘নড়াইলের বাড়িটা আমি মায়ের জন্য বানিয়েছিলাম। এখন সেটা শেষ। অনেকেই আমাকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন, ছবি-ভিডিওও আছে। তবে আমি এসব করব না। আমার বাবাকেও বলেছি, বর্তমান সরকার বা ভবিষ্যতে আসা যে সরকারই হোক, আমি কারও কাছে বিচার চাইব না। আমার কোনো অভিযোগ নেই।’’
নিজের জেলার মানুষের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে চান না মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘‘খুলনা-যশোর বা ঢাকা থেকে কেউ এসে এই বাড়ি ভাঙেনি। নড়াইলের কোনো জায়গা থেকে উঠে আসা মানুষই এটি পুড়িয়েছে। আমি নড়াইলের মানুষের বিরুদ্ধে বিচার চাইব না। নিজের ভাগ্য মেনে নিয়েছি।’’
এই ঘটনার প্রতি নিজের মনোভাব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, ‘‘এটি আমার ‘কর্মফল’ হিসেবে দেখছি। হয়তো আমি কোনো ভুল করেছি, সেটার ফল পেয়েছি। কষ্ট আছে, তবে কারও প্রতি রাগ বা ক্ষোভ নেই। যদি কেউ আমার প্রতি ক্ষোভ অনুভব করে, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’