সর্বশেষ

সৌম্য, লিটন নয় টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করবেন বিসিবি থেকে বার বার অবহেলিত সেই আলোচিত ক্রিকেটার

নাজমুল হোসেন শান্তরাও ব্যস্ত থাকতো যদি তারা ৫ দিনে খেলা শেষ করতো। চার দিনে ম্যাচ জিতে দর্শকদের ঝামেলা থেকে বাঁচিয়েছেন রোহিত শর্মা। একদিনের বিশ্রামের পর ক্রিকেটাররা চেন্নাই ভ্রমণের সুযোগ পান।

আজ দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু কানপুর যাচ্ছেন তারা। বিসিসিআই বাংলাদেশ-ভারত উভয় দলের জন্য একটি বিশেষ বিমান ভাড়া করেছে এবং ফ্লাইটের সময়ও দুপুর দেড়টায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

কারণ সিরিজ নির্ধারণের জন্য দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত কানপুরে। কয়েকদিনের মধ্যেই এই শহরের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটাররা দলে যোগ দেবেন। কারণ তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে কানপুরের খুব কাছে গোয়ালিয়রে।

বিশ্বকাপের পর এটিই বাংলাদেশ দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ। যে সিরিজ দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের দলও শুরু হচ্ছে। তাই ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দলে অনেক নতুন মুখ থাকা অবাক হওয়ার কিছু নেই।

জাতীয় দলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিডল অর্ডারে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন তরুণ ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন। তার লড়াই সৌম্য সরকারের সঙ্গে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ইমনকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির জন্য প্রস্তুত করতে চায় জাতীয় দল নির্বাচন প্যানেল।

অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ হয়তো এখন বাদ পড়বেন না। সাকিব আল হাসানও ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তিন সংস্করণের প্ল্যান মিস করতে পারেন। এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার যে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে থাকবেন তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

দল সূত্রে জানা গেছে, টানা দুই বিশ্বকাপে তানজিদ তামিম ভালো পারফর্ম না করলেও তাকে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়মিত খেলার সুযোগ দেওয়া হবে।

টি২০ দল নিয়ে নির্বাচক হান্নান সরকার বলেন, ‘২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার আগে বিপিএল ও এনসিএল টি২০ লিগ খেলব। তার পর আমরা টি২০ বিশ্বকাপের জন্য চিন্তা-ভাবনা করব। আগামী বছর বিপিএলের পরে টি২০ বিশ্বকাপের আগে ১৮টি ম্যাচ রয়েছে। সেখান থেকে সুন্দর একটা ভারসাম্য দলের স্বপ্ন দেখছি। এখনই কী করব, তা বলতে চাচ্ছি না।’

স্পিন বোলিং বিভাগের লড়াইয়ে ভালোভাবে টিকে আছেন রহস্য বোলার আলিস আল ইসলাম। চোটে না পড়লে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে নেওয়া হতে পারে তাঁকে। ভালো করলে জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য হওয়ার সুযোগ থাকত। যদিও লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন ও সাকিব-মাহমুদউল্লাহ থাকায় বাড়তি স্পিনারের প্রয়োজন হয় না।

লম্বা সময় ছন্দে না থাকা আফিফ হোসেনকে বিকল্প তালিকায় বিবেচনা করা হতে পারে। কারণ তিনি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্পিন বোলিংও করেন। টেস্টের মতো টি২০ দলেও বেশি স্পিনার খেলার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে পেস বোলারদের উত্থানে। তবে যারাই নির্বাচিত হবেন ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতের কানপুরে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে জানান হান্নান সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *