সর্বশেষ

বিশ্বের বাঘা বাঘা সব বোলারদের টপকে শীর্ষস্থান দখল করতে যাচ্ছেন নাহিদ রানা

বল হাতে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা গতিময় বোলার হয়ে উঠেছেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। এবার নিজের গতি দিয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন মিচেল স্টার্ক, জেরাল্ড কোয়েৎজি, নান্দ্রে বার্গার, শাহীন আফ্রিদীদের মত তারকা পেসারদের। আর অভিষেকের বছরেই তিনি হয়েছেন ২০২৪ সালের দ্বিতীয় সেরা গতিময় বোলার।

চলতি বছরের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের তরুণ পেসার নাহিদ রানার। আর তারপর থেকেই দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন তিনি। বিশেষ করে নিজের গতির ঝলক দিয়ে নজর কেড়েছেন সকলের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের ম্যাচে করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে গতিময় বোলার হিসেবে ইতোমধ্যেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছেন নাহিদ। নিয়মিত ১৫০-এর আশেপাশে বল করতে পারার সামার্থ আছে তার। তবে কেবল গতি দিয়েই সাফল্য পাচ্ছেন তেমনটা নয়। গতির পাশাপাশি লাইন লেন্থ ঠিক রেখে ব্যাটারের মাইন্ড রিড করে যথাযথ বল করেন তিনি। দিন দিন তার গতি এবং ধার দুটোই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় চলতি বছর এখন পর্যন্ত গড়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গতির বোলিং করেছেন নাহিদ। অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত খেলা ৬ ম্যাচে তিনি গড়ে ১৪০.৯৩ কি.মি. প্রতি ঘন্টার বেগে বল করেছেন। এই তালিকায় নাহিদের আগে রয়েছেন কেবল ইংলিশ পেসার মার্ক উড। তিনি করেছেন গড়ে ১৪৫.৩১ কি.মি. প্রতি ঘন্টার গতিতে বল।

নাহিদ রানার পরবর্তী স্থানে অর্থাৎ তৃতীয় নম্বরে থাকা মিচেল স্টার্ক চলতি বছর বল করেছেন ১৪০.১৪ কি.মি. প্রতি ঘন্টার গতিতে বল। এই তালিকায় চতুর্থ এবং পঞ্চম অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছেন জেরাল্ড কোয়েৎজি ও নান্দ্রে বার্গার। তারা করেছেন ১৪০.১৩ কিমি এবং ১৩৮.২৬ কি.মি. প্রতি ঘন্টার গতিতে বল।

দারুন গতিময় বোলিংয়ে সকলের প্রশংসা করিয়াছেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণ পেসার। চলতি বছর অভিষেকের পর তিনি এখন পর্যন্ত খেলেছেন ছয় টেস্ট। যার মধ্যে ১১ ইনিংসে বল করে তিনি শিকার করেছেন প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট। ক্রিকেট বৌদ্ধরা বলছেন এমন প্রতিভাবান ক্রিকেটারের সঠিক যত্ন নিতে। কেননা তিনিই হয়ে উঠতে পারেন টাইগারদের আগামীর নায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *