অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চলমান পিঙ্ক বল টেস্টে সামাজিক মাধ্যমে একটি দাবি উঠে, যে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজ তার দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮১.৬ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বল করেছেন। এই খবরটি ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা এবং মজা সৃষ্টি করে। তবে, অধিকাংশ নেটিজেনই এই গতি পরিমাপকে অবাস্তব হিসেবে গ্রহণ করেন এবং এটি প্রযুক্তিগত ভুল হিসেবে চিহ্নিত করেন।
গতি পরিমাপের প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সিরাজের বলটি অপ্রত্যাশিতভাবে বিশ্বরেকর্ডের চেয়েও বেশি গতিতে রেকর্ড হয়ে যায়। ফলে কিছু সময়ের জন্য এটি বিভিন্ন মিডিয়া আউটলেটে ‘বিশ্ব রেকর্ড’ হিসেবে প্রচারিত হতে থাকে। তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুততম বলের রেকর্ডটি এখনও পাকিস্তানের কিংবদন্তি শোয়েব আখতার-এর দখলে, যিনি ২০০৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬১.৩ কিমি/ঘণ্টা (১০০.২৩ মাইল/ঘণ্টা) গতিতে বল করেছিলেন।
এই গতি মাপনের যন্ত্রের ত্রুটির কারণে সিরাজের বলটি আখতার-এর রেকর্ডের চেয়েও বেশি গতিতে রেকর্ড হয়, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা হাস্যকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। অনেক ক্রিকেট ভক্ত মজা করে বলছেন, “বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বোলার এসে গেছেন!” বা “ভিভ রিচার্ডসের পর সিরাজ এখন শোয়েব আখতারকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত!” একাধিক মিমও ভাইরাল হয়, যেখানে বলা হয় যে, গতি মাপনের যন্ত্র সিরাজের গতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।
প্রকৃতপক্ষে, সিরাজের বলের সঠিক গতি এখনও জানা যায়নি, তবে এই প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম দিনের খেলায় সিরাজ ১০ ওভার বল করে ২৯ রান দেন, তিনটি মেডেন ওভার দেন, তবে কোনো উইকেট নিতে পারেননি।
প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া ৮৬/১ স্কোর নিয়ে ভারতকে পিছনে ফেলেছিল। দ্বিতীয় দিনে তারা ভারতের সংগ্রহকে ছাড়িয়ে এগিয়ে গেছে। ভারতের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮০ রানে অলআউট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ৬ উইকেট নিয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। পরাজয়ের পরও ভারত সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে, কারণ তারা পার্থে প্রথম টেস্ট জিতেছিল।