সর্বশেষ

শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে জিতে বিজয় দিবসে দেশবাসীকে ‘জয়’ উপহার দিলো টাইগাররা

৫৪তম বিজয় দিবসের শুরুটা হলো বাংলাদেশের অবিস্মরণীয় এক জয় দিয়ে। হাঁড় কনকনে শীতের সকালো সূর্য ওঠার আগেই শুরু হয়েছিলো বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। কিংসটাউনে সকাল পৌনে ১০টার মধ্যেই এসে গেলো শ্বাসরুদ্ধকর এক বিজয়।

স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। পেন্ডুলামের মত দুলছিল ম্যাচটির ভাগ্য। একদিকে রোভম্যান পাওয়েল, অন্যদিকে বাংলাদেশের বোলারদের আপ্রাণ চেষ্টা। শেখ মেহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে সহজ জয়ের স্বপ্ন দেখলেও রোভম্যান পাওয়েল যেন সেই স্বপ্নকে কেড়ে নিতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় হলো বাংলাদেশের বোলারদেরই।

শেষ ওভারে বাজিমাত করলেন হাসান মাহমুদ। রোভম্যান পাওয়েলকে ক্যাচে পরিণত করেন উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে। পাওয়েলের আউটেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়। সর্বশেষ অ্যালজারি জোসেফকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ৭ রানের অবিস্মরণীয় এক জয় উপহার দিলেন তিনি। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনের আর্নস ভ্যালে গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি।

যে কারণে ক্যারিবীয়দের সামনে মাত্র ১৪৮ রানের লক্ষ্য বেধে দিতে পেরেছে টাইগাররা। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে। বিশেষ করে অফ স্পিনার শেখ মেহেদী হাসানের ঘূর্ণি বোলিংয়ে রীতিমত কাঁপতে শুরু করে তারা। যার ফলশ্রুতিতে ৩৮ রানেই হারিয়েছে ৫ উইকেট।

মেহেদী হাসান একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। জয়ের জন্য ১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তাসকিন আহমেদের শিকারে পরিণত হন ক্যারিবীয় ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। তাসকিনের বলে ওঠা ক্যাচ তালুবন্দী করেন তানজিদ হাসান তামিম। এরপরই শুরু হয় শেখ মেহেদী হাসানের ঘূর্ণি তাণ্ডব।

নিকোলাস পুরান (১), রস্টোন চেজ (৭), আন্দ্রে ফ্লেচার (০) দ্রুত আউট হন শেখ মেহেদ হাসানের বলে। সর্বোচ্চ ২০ রান করা জনসন চার্লসের উইকেটও তুলে নেন মেহেদী হাসান। মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগ হয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব এবং রিশাদ হোসেন মিলে তুলে নেন আরও দুই উইকেট। গুদাকেশ মোতিকে ৬ রানে ফেরান তানজিম সাকিব এবং আকিল হোসেনের উইকেট তুলে নেন রিশাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *