সর্বশেষ

ড্রেসিংরুমে ব্যাট ছোড়ার পর দেখি আম্পায়ার ডাকছেন: জাকের

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৮০ রানের জয় পেয়েছে টাইগাররা। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে আগুন ঝরিয়েছেন জাকের আলী। ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। অথচ ১৬ বলে ১৭ রানেই থেমে গিয়েছিল জাকের আলি অনিকের ইনিংস। রান আউট নাটকীয়তার পর আবারও মাঠে আসেন তিনি।

গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন

প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নেওয়া বাংলাদেশের সামনে ছিল হোয়াইটওয়াশের মিশন। আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর পর হোঁচট খায় বাংলাদেশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে তখন ক্রিজে জাকের ও শামীম।

১৫তম ওভারে ভুল-বোঝাবুঝিতে দুজন চলে যান এক প্রান্তে, সহজ রান আউট। দুই ব্যাটার এক প্রান্তে থাকায় কে আউট হয়েছেন তা নিয়ে দ্বিধা ছিল। আম্পায়াররা জাকেরকে শুরুতে আউট দিলে তিনি হতাশায় নিজের উপর রাগ ঝাড়তে থাকেন, ড্রেসিংরুমে ফিরে ছুড়ে মারেন ব্যাট।

কিন্তু খানিকপর আচমকা দেখতে পান চতুর্থ গ্রেগরি ব্র্যাথওয়েটকে। তিনি জানানে আসলে জাকের নন, আউট হয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। নাটকীয়ভাবে আবার ক্রিজে গিয়ে ২৫ বলে ৫৫ রান তোলেন এই ব্যাটার। তার ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ বড় পুঁজি পায়।

ম্যাচ সেরা হয়ে জাকের জানান তার কারণে দুই ব্যাটার রান আউট হওয়ায় পুষিয়ে দেওয়ার জেদ কাজ করেছে তার ভেতর। তার ভাষ্য, ওটা ছিল ভয়ংকর ভুল-বোঝাবুঝি। ড্রেসিংরুমে ফিরে হতাশায় আমি ব্যাট ছুড়ে ফেলি। হঠাৎ দেখি চতুর্থ আম্পায়ার আমাকে ডাকছেন।

‘এরপর আমার জন্য আরেকটা রানআউট হলো। আমি তখন নিজে থেকে জেদ অনুভব করি। সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা ভালো খেলতে সহায়তা করার জন্য। আমি তাদের (শামীম ও শেখ মেহেদী) রানগুলোও করতে পেরেছি।’

সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেটে স্পিনারদের সহায়তা পেতে দেখা গেছে সব ম্যাচেই। তবে এদিন উইকেট আগের থেকে ভালো দেখায় বড় রানের চিন্তা ছিল জাকেরের, বাকি দুই ম্যাচের চেয়ে আজকের উইকেট তুলনামূলক ভালো ছিল। আমি ক্রিজে গিয়ে সময় নিতে চেয়েছি। আমি নিজেকে জানি, যদি টিকে থাকতে পারি রান করতে পারব এই বিশ্বাস ছিল।

এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ফরম্যাটে আলো ছড়িয়েছেন জাকের। ৫১.১২ গড়ে ৪০৯ রান এসেছে তার ব্যাটে। এ নিয়ে তিনি বলেন, সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। আমার জন্য অসাধারণ সিরিজ। পুরো সিরিজ জুড়েই (ভালো খেলতে পারার তৃপ্তি)। আসলে এটা মানসিকতার ব্যাপার।

‘আপনি জানেন ক্যারিবিয়ানরা শক্তভাবে সব সংস্করণে চ্যালেঞ্জ জানাবে, বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কন্ডিশনে। আমি এখানে বিশ্বকাপ খেলেছি, যদিও ভালো করতে পারিনি। আমি দেশে ফিরে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। অবশেষে সব কিছু আমার পক্ষে এসেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *