এবারের বিপিএলে শুরু থেকেই চলছে লো স্কোরের মহড়া। তবে সেই মিছিলে নাম লেখায়নি সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশা। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভার থেকেই আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছে বরিশালের দলটি। দুই ওপেনারের দারুণ শুরুর পর সাকিব নেন ব্যাটিংয়ের গুরুদায়িত্ব। তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে বরিশাল।
শনিবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসের নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১৯৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বরিশালের দলটি।
ম্যাচের শুরুতেই ছিল চমক। বরিশালের অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম থাকলেও আজকের ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে টস করতে আসেন মিরাজ।
সিলেট দলেও একই ঘটনা। নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বোন মর্তুজা হলেও আজকে অধিনায়কত্ব করছেন মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভার থেকেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলারদের ওপর চড়াও হন এনামুল হক বিজয়। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা।
দুজনে মিলে পাওয়ারপ্লেতে যোগ করেন ৫৪ রান। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান করা বরিশাল প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৬৭ রানে। ২১ বলে ২৯ রান করে মাশরাফির বলে ক্যাচ হয়ে ফেরেন বিজয়।
বিজয়ের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শ্রীলঙ্কান চতুরাঙ্গা ডি সিলভাও। ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হয়ে। চতুরাঙ্গার বিদায়ের পর উইকেটে আসেন সাকিব। এক প্রান্ত আগলে রেখে শুরু করেন ঝোড়ো ব্যাটিং। ২৭ বলে তুলে নেন ফিফটি।
ফিফটির পরেও থামেনি তার ব্যাট। চলছিল চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি। অবশেষে সাকিবকে থামান এসে মাশরাফি। শেষ ওভারে সাকিবকে মোহাম্মদ আমিরের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান ম্যাশ। ৩২ বলে ৪ ছোঁয় ও ৭ চারে ৬৭ রান করেন সাকিব। শেষদিকে করিম জানাতের ক্যামিও ইনিংসে ১৯৪ রানে থামে বরিশালের ইনিংস।