বরিশালের দেওয়া পাহাড়সম ১৯৪ রান সহজেই টপকে গেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হ্রদয় এবং জাকির হাসানের ব্যাটে ভর করে ১ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুশফিকুর রহিমের দল। শনিবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের চতুর্থ ম্যাচে অবশেষে রানের দেখা পাওয়া গেল। সাকিব আল হাসান, চতুরাঙ্গা ডি সিলভাদের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১৯৫ রান করে ফরচুন বরিশাল।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৬ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই জয় পেয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ম্যাচের শুরুতেই ছিল চমক। বরিশালের অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম থাকলেও আজকের ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে টস করতে আসেন মিরাজ। সিলেট দলেও একই ঘটনা।
নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি বোন মর্তুজা হলেও আজকে অধিনায়কত্ব করছেন মুশফিকুর রহিম। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভার থেকেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলারদের ওপর চড়াও হন এনামুল হক বিজয়। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা।
দুজনে মিলে পাওয়ারপ্লেতে যোগ করেন ৫৪ রান। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান করা বরিশাল প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৬৭ রানে। ২১ বলে ২৯ রান করে মাশরাফির বলে ক্যাচ হয়ে ফেরেন বিজয়। বিজয়ের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শ্রীলঙ্কান চতুরাঙ্গা ডি সিলভাও। ৩৬ রান করে তিনি ফেরেন ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হয়ে।
চতুরাঙ্গার বিদায়ের পর উইকেটে আসেন সাকিব। এক প্রান্ত আগলে রেখে শুরু করেন ঝোড়ো ব্যাটিং। ২৭ বলে তুলে নেন ফিফটি। ফিফটির পরেও থামেনি তার ব্যাট। চলছিল চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি। অবশেষে সাকিবকে থামান এসে মাশরাফি। শেষ ওভারে সাকিবকে মোহাম্মদ আমিরের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান ম্যাশ।
৩২ বলে ৪ ছোঁয় ও ৭ চারে ৬৭ রান করেন সাকিব। শেষদিকে করিম জানাতের ক্যামিও ইনিংসে ১৯৪ রানে থামে বরিশালের ইনিংস। সিলেটের জয়ের পেছনে অবশ্য বরিশালের ফিল্ডারদেরও রয়েছে অবদান। ৩ ক্যাচ মিসের পাশাপাশি অসংখ্য মিস ফিল্ডিং দেখা যায় সিলেটের ইনিংসে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সিলেট তুলে নিয়েছে আসরের দ্বিতীয় জয়। ফরচুন বরিশালের দেওয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কলিন অ্যাকারম্যানকে হারিয়ে বসে সিলেট।
তবে সে চাপকে সামলে নিয়ে এগিয়ে চলেন শান্ত এবং হৃদয়। ১০১ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন তারা। পরবর্তীতে শান্ত ৪৭ এবং হৃদয় ৫৫ রান করে ফেরেন। এরপর ব্যাট হাতে বিধ্বংসী রূপ ধারণ করেন জাকির হাসান। রীতিমত একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলে ১৮ বলে ৪৩ রান করে ফেরেন। বাকি পথ অবশ্য পাড়ি দেন মুশফিকুর রহিম এবং থিসারা পেরেরা। মুশফিক ২৩ এবং পেরেরা ২০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। বরিশালের হয়ে চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা এবং করিম জানাত ১ টি করে উইকেট লাভ করেন।