সর্বশেষ

লিটন-রিজওয়ানের ব্যাটে অবশেষে বিপিএলে জয়ের দেখা পেলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

গতবারের চ্যাম্পিয়নদের শুরুটা এবার একদমই ভালো হয়নি। প্রথম তিন ম্যাচেই হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চট্টগ্রামে এসে সে গেরো কাটালো ইমরুল কায়েসের দলের। চট্টগ্রামের দেওয়া সহজ লক্ষ্য তাড়া করে টুর্নামেন্টে প্রথম জয় পেল কুমিল্লার দলটি।




চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বিপিএলের চতুর্দশ ম্যাচে প্রথম জয়ের দেখা পেল কুমিল্লা। সোমবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল। টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিক দলের। প্রথম ওভারেই উসমান খানের উইকেট হারায় দলটি। তবে তার অভাবটা ভালোভাবেই পুষিয়ে দিয়েছিলেন আফিফ হোসেন ও ম্যাক্স ও দাউদ। দ্বিতীয় ওভার থেকেই মারকুটে ব্যাটিং করেছেন এই দুই ব্যাটার।




প্রথম ৫ ওভারে রান আসে ৪০। পাওয়ার প্লের শেষ বলে আফিফকে ফেরান মুকিদুল ইসলাম। এরপর কমতে শুরু করে রানের গতি। দলীয় ৫৫ রানে ইরফান শুকুর ফেরেন মোসাদ্দেকের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। আসা যাওয়ার মিছিল শুরু সেখান থেকেই। ম্যাক্স ও দাউদ, জিয়াউর রহমান ও দারউইশ রাসূলি ফিরেছেন মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে।




তিন জনকেই ফিরিয়েছেন দুই বাঁহাতি স্পিনার তানভিরুল ইসলাম ও খুশদিল শাহ। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি শুরুটা করেছিলেন ভালো। তবে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। তাতে ৯৮ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রাম, হাতে ছিল মাত্র ৩ ওভার। লড়াইটা একাই চালিয়ে নিলেন দলপতি।




২৩ বলে ৩৭ রান করে থাকলেন অপরাজিত। উইকেটের অন্য প্রান্তে মেহেদী হাসান রানাও করেছেন ৮ বলে ১৩ রান। তাতে ১৩৫ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাসের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় কুমিল্লা। পাওয়ার প্লেতে রান আসে ৫৬।




সেখানেই মূলত ম্যাচটা জিতে গিয়েছিল কুমিল্লা। ২২ বলে ৪০ রান করে লিটন ফেরেন মৃত্যুঞ্জয়ের বলে বোল্ড হয়ে। তবে তাতে কোনো আঁচ আসেনি কুমিল্লার ব্যাটারদের ওপর। নিয়মিত বিরতিতে অবশ্য উইকেট পড়েছে কয়েকটা। ইমরুল ফিরেছেন ১৩ রান করে। জনসন চার্লস আউট হন কোনো রান যোগ না করেই। তবে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৩৫ বলে ৩৭ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *