সর্বশেষ

স্বপ্ন ছিল মাশরাফি ভাই, মুশফিক ভাইদের সঙ্গে খেলার। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে : তৌহিদ হৃদয়

স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তৌহিদের হৃদয়ের। স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের দুই সেরা সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং মুশফিকুর রহিমের সাথে এক দলে খেলা। শুধু খেললেনই না বরং তাদের অনুপ্রেরণায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।




ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন একদিন মাশরাফি এবং মুশফিকুর রহিমের সাথে এক দলে খেলবেন। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বিপিএলের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে একই দলের হয়ে খেলছেন মাশরাফি, মুশফিক এবং তৌহিদের হৃদয়। বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম সেরা সদস্য ছিলেন তৌহিদের হৃদয়।

ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। এবার বিপি এল আলো ছড়াচ্ছেন ২২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে তিনি ম্যান অব দা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। পরে সংবাদ সম্মেলনে এসে হৃদয় শোনালেন মাশরাফি-মুশফিকদের কাছ থেকে কতটা প্রেরণা তিনি পেয়েছেন।




হৃদয় বলেন, “মাশরাফি ভাইয়ের কথা আলাদা করে বলার কিছু নেই। উনি তো আমাদের সবার অধিনায়ক। প্রথম থেকেই উনি আমাকে বলে আসছেন, উনার প্রথম টার্গেটই আমি ছিলাম, আমাকে দলে নেবেন” “আমার অনেক সৌভাগ্য যে… স্বপ্ন ছিল মাশরাফি ভাই, মুশফিক ভাইদের সঙ্গে খেলার। সেটা পারছি এবার এবং ভালো একটা গাইডলাইনের ভেতর আছি।

সবচেয়ে বড় কথা, স্বাধীনতা পেয়েছি ভালোভাবে এবং চেষ্টা করছি তা কাজে লাগাতে।” তবে উইকেট-কন্ডিশন যেমন হোক বা প্রতিপক্ষ যে-ই থাকুক, ১৯৫ রান তাড়ার কাজটি সহজ নয় কখনোই। হৃদয় জানালেন, লক্ষ্য জানার আগে থেকেই তারা রান তাড়ার বিশ্বাস পেয়েছিলেন মাশরাফি-মুশফিকের কাছ থেকেই।




“প্রথম ইনিংস খেলার মধ্যেই মুশফিক ভাই, মাশরাফি ভাইরা বলছিলেন যে, উইকেট অনেক ভালো আছে, বল ভালোভাবে ব্যাটে আসছে, ২০০ রান হলেও এখানে তাড়া করার মতো। আমরা সেটা সবসময় বিশ্বাস করেছি। প্রথম ইনিংস শেষেও ড্রেসিং রুমে একটা কথাই হয়েছে যে, শুরুটা ভালো করতে পারলে এই রান আমরা তাড়া করতে পারব।

মাশরাফি ভাই, মুশফিক ভাই যে পরিকল্পনা দিয়েছেন, বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।” “দলের যে পরিকল্পনা ছিল, সেভাবেই আমি চেষ্টা করেছি পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে, যেহেতু সুযোগটা আমাকে দেওয়া হয়েছে ওপরে ব্যাটিং করার। মাশরাফি ভাই, মুশফিক ভাই যে সুযোগটি দিয়েছেন, তা কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *