সর্বশেষ

তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি এবং মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিল সিলেট

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম ম্যাচে নিজেদের হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জবাবে তৌহিদের ব্যাক টু ব্যাক হাফ সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে জয়লাভ করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।




টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেলেন লিটন দাস। ইনিংসের প্রথম বলে চার মেরে শুরু করেছিলেন লিটন। এরপর তৃতীয় বলে আরো একটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। কিন্তু থিসারা পেরেরার চতুর্থ বলে ক্যাচ উঠিয়ে দিয়ে প্যাভিলিয়নের ফেরেন লিটন। লিটনের মত ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছিলেন সৈকত আলীও। মাশরাফিকে পরপর তিনটি চার মেরে ভালো শুরু করেছিলেন তিনি।




তবে ইনিংসে বড় করতে পারেননি তিনিও। ১২ বলে চারটি বাউন্ডারিতে ২০ রান করে ইমাদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৈকত আলী। এই দিনেও ব্যাট হাতে রান পাননি অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। মোহাম্মদ আমিরের বলে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুমিল্লার অধিনায়ক। তবে চাপ সমান দিয়ে ৫৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন জাকির আলী এবং ডেবিড মালান।




দলীয় ৯৯ রানের মাথায় ৩৯ বলে তিনটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৭ রান করে পেরেরার দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মালান। ব্যাটিংয়ে নেমে এই দিনও রান করতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৮ বলে মাত্র ৫ রান করে মোহাম্মদ আমিরের বলে প্যাভিলিয়ানে ফিরেছেন মোসাদ্দেক। তবে আজ অন্য প্রান্ত থেকে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জাকির আলী অনিক। ইনিংসের শেষ ওভারে ৭ বলে ৮ রান করা মোহাম্মদ নবির উইকেট তুলে নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।




৪৩ বলে ২টি চার এবং তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ রানের অপরাজিত থাকেন জাকির আলী। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানের মাথায় উইকেট হারায় সিলেট। ওপেনার মোহাম্মদ হারিসকে ৬ রানের প্যাভিলিয়নের ফেরান আবু হায়দার রনি। এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং তৌহিদ হৃদয়। ২১ বলে ১৯ রান করে শান্ত আউট হলেও অন্য প্রান্ত থেকে জাকির হাসানকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন তৌহিদের হৃদয়।




১০ বলে একটি চার এবং দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ২০ রান করে মোহাম্মদ নবীর বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেলেন জাকির হাসান। তবে অন্য প্রান্ত থেকে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তৌহিদ হৃদয়। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর বেশি সময় টিকতে পারেননি হৃদয়। ৩৭ বলে তিনটি চার এবং চারটি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়। তবে বাকি কাজটুকু করে দেন মুশফিকুর রহিম। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও দুর্দান্ত ফিনিশ করেছেন তিনি। ৩৫ বলে দুটি চারের সাহায্যে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম।




কুমিল্লা একাদশ : সৈকত আলি, লিটন দাস, ডেভিড মালান, ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ নাবি, জাকের আলি, খুশদিল শাহ, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার রনি, ফজলহক ফারুকি।

সিলেট একাদশ : নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, মোহাম্মদ হারিস, মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), আকবর আলি, থিসারা পেরেরা, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আমির, রেজাউর রহমান রাজা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *