সর্বশেষ

সাগরিকায় উত্তাল সাকিবের ব্যাট

উইকেটে গিয়ে প্রথম বলেই কাট শটে পয়েন্ট দিয়ে চার। পরের ওভারে একই শটে বাউন্ডারি আরও দুটি। সাকিব আল হাসানের অভিপ্রায় ততক্ষণে পরিষ্কার। ওই ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক যেন বুঝিয়ে দিলেন, আজ কিছু হতে চলেছে! শেষ পর্যন্ত বিধ্বংসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে দলকে তিনি এনে দিলেন বড় সংগ্রহ।




কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে চট্টগ্রামে এ দিন স্রেফ ৪৫ বলে ৮১ রান করেন সাকিব। বিপিএল ক্যারিয়ারে তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস এটি। প্রথম আসরের সেমি-ফাইনালে খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলসের হয়ে ৪১ বলে অপরাজিত ৮৬ রান করেছিলেন তিনি, তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের যা সেরা ইনিংস।




জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শনিবার অধিনায়কের ৮ চার ও ৪ ছয়ে সাজানো ইনিংসে ১৭৭ রানের সংগ্রহ পায় বরিশাল। মিরপুরে বরিশালের প্রথম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষেও ঝড় তুলেছিলেন সাকিব। সেদিন ৭ চার ও ৪ ছয়ে স্রেফ ৩২ বলে ৬৭ রান করেন এই অলরাউন্ডার।




এবার সাগরিকায় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি করে সেটিকে ছাপিয়ে গেলেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ বলে চতুরাঙ্গা ডি সিলভা আউট হলে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। দলের রান ততক্ষণে ৫০ ছুঁয়ে ফেলেছে। শকবত ভিত পেয়ে রানের সৌধ গড়তে থাকেন বরিশাল অধিনায়ক।




শুরু থেকেই ছুটতে থাকে তার ব্যাট। খুশদিল শাহর বলে চার দিয়ে রানের খাতা খোলার পর নাঈম হাসানের ওভারে জোড়া চারের সঙ্গে মারেন নিজের ইনিংসের প্রথম ছক্কা। কুমিল্লার স্পিনারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন সাকিব। খুশদিলের ১২ বল থেকে ২ চার ও ১ ছয়ে নেন ২০ রান।




নাঈমকে মারেন ৩ চার ও ১ ছক্কা। ইনিংসের ১৮তম ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনকে পরপর দুই বলে ছক্কায় ভাসান তিনি। ফিফটি ছুঁতে সাকিবের লাগে ৩১ বল। পরের ১৪ বল থেকে যোগ করেন আরও ৩১ রান। তার ঝড়ে শেষ ৪ ওভারে ৪৫ রান পায় বরিশাল। এবারের বিপিএলে ৩ ইনিংস খেলেই বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের রান ৭৮ গড়ে ১৫৬, স্ট্রাইক রেট ১৯৫! বল হাতে প্রথম ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও পরের দুই ম্যাচে একটি করে উইকেট নেন আঁটসাঁট বোলিংয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *