বরিশালকে উড়িয়ে দিয়ে বড় জয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। বিপিএলে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা। ব্যাটিংয়ে এসে ১৯.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১২১ রান করে বরিশাল।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ১২২ রান তুলে নেয় শিরোপা প্রত্যাশী কুমিল্লা। এ জয়ে ফলে ১১ ম্যাচে ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে তারা। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৬ বলে ৩২ রান করেছেন করিম জানাত। আর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান করেন ১২ বলে মাত্র ৬ রান। এ দিন শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বরিশাল।
শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে গিয়ে থামে তাদের ব্যাটিং ইনিংস। কুমিল্লার পক্ষে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন মুকিদুল ইসলাম। ৩.১ ওভার বল করে মাত্র ২৩ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট নেন মুকিদুল। তাতে একাই বরিশালের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তিনি। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভিক্টোরিয়ান্সের।
বরিশালের বোলিং তোপে দলীয় ১৬ রানে ব্যক্তিগত ১১ রান করে বিদায় নেন পাকিস্তানের তারকা ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলীয় ৬০ রানে আরও ৩ উইকেট হারায় চ্যাম্পিয়নরা। দলের বিপদে তাতা হয়ে আসেন লিটন দাস। চোট কাটিয়ে দলে ফিরেই দারুন ইনিংস খেলেন তিনি।
তবে দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্যাটার ৩৯ বলে ৩৬ রান করে পেসার এবাদত হোসেনের বলে কাট পড়েন। জয়ের জন্য ভিক্টোরিয়ান্সের তখনও প্রয়োজন ৩৫ বলে ৪৮ রান। তখনই ক্রিজে আসেন বিপিএলের চমক আন্দ্রে রাসেল। আফগান খুরশিদ শাহকে সাথে নিয়ে মিরপুরের উইকেটে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন এই ক্যারিবিয়ান। এ সময় তাকে সঙ্গ দেন খুরশিদ শাহও।
রাসেল ১৬ বলে তিনটি বিশাল ছক্কা ও দুই চারে অপরাজিত ৩০ ও খুরশিদ শাহ ১৯ বলে তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ২৩ রান করে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। হারের পর সাকিব বলেন,‘আমরা খারাপ ব্যাটিং করেছি, আমাদের অন্তত ১৪০-১৫০ রান করা উচিত ছিল। আমরা শর্তগুলো মূল্যায়ন করতে পারিনি যেমনটা আমরা পছন্দ করতাম। উইকেটের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া আমাদের ফাস্ট বোলারদের উপর নির্ভর করে, তারা তাদের সেরা চেষ্টা করেছিল কিন্তু এই ধরনের খেলায় এক বা দুটি বল পুরো গতিকে বদলে দেবে।