বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ডার ণৈপুণ্যে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ইংল্যান্ডকে ৫০ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। এই ম্যাচে প্রথম বাংলাদেশে হিসেবে অনন্য এক রেকর্ড গড়েছেন সাকিব। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ ২৪৬ রান তোলে। জবাবে ইংলিশরা ১৯৬ রানে গুটিয়ে যায়।
সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল ১১ রানে বিদায় নিলেও লিটন ডাক মারেন। এরপর শান্ত ও মুশফিকের ৯৮ রানের জুটিতে অনেকটা স্বস্তি ফিরে টাইগার শিবিরে। দলীয় ১১৫ রানে শান্ত ৫৩ করে রান আউট হলে বিদায় নেন মুশফিক। ৯৩ বলে ৬ চারে ৭০ রান করেন তিনি। এরপর রিয়াদ বোল্ড হন ৮ রানে। পরে অফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে সাকিব ফিফটি পূর্ণ করলেন ৫৫ বলে।
নিজের ৫২ তম অর্ধশতক পূরণ করার আগের ম্যাচেও অর্ধশতকের দেখা পেয়েছিলেন সাকিব। একপ্রান্ত সাকিব আগলে থাকলেও অন্য প্রান্তে চলে আসা-যাওয়ার মিছিল। ক্রিস ওকসের বলে কাভারে মঈন আলীর হাতে ক্যাচ দেন আফিফ। সাকিবের সঙ্গে তার জুটি থামে ৪৯ রানে।
এরপর ৪৯ তম ওভারে আর্চারের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিবও। তিনি করেন ৭৫ রান। ৭১ বলের ইনিংসে সাকিব চার মেরেছেন ৭টি। দলীয় ২৪৬ রানে সাকিবের থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। পরের পলে মোস্তাফিজ এলিবিডাব্লিউ হলে ওখানেই থেকে যায় স্বাগতিকরা।
জফরা আর্চার ৮ ওভারে ৩ উইকেট। এছাড়া আদিল ও কারা নেন ২ টি করে উইকেট। জবাবে ২৪৭ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫৪ রানে ফিল সল্টকে হারায় ইংল্যান্ড। পরের ওভারেই এবাদত শূন্য রানে ফেরান মালানকে। এরপর জসন রয়কে সরাসরি বোল্ড করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেন ৩০০ উইকেট। ৩৪.১ ওভারে ইংলিশদের সংগ্রহ তখন ৭ উইকেটে ১৫৮।
শেষ দিকে ক্রিস ওকস ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতেই পারেনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে মোস্তাফিজের বলে বিদায় নেন ক্রিস ওকস। ফলে ৪৩.১ ওভারে ১৯৬ রানে থেমে ইংলিশরা। বল হাতে সাকিব ১০ ওভারে ৩৫ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া তাইজুল এবাদত নেন দুটি করে উইকেট। জয়ের পর ক্যাপ্টেন তামিম বলেন,‘ আমরা সত্যিই এই খেলার জন্য উন্মুখ ছিলাম।
আমরা উচ্চতায় শেষ করতে চেয়েছিলাম। তারপরও হতাশ কারণ আমরা সিরিজ হেরেছি। প্রথম ম্যাচটি একটি ঘাতক ছিল। প্রশংসা অবশ্যই ইংল্যান্ডের কাছে যেতে হবে এবং তারা যেভাবে খেলেছে। আদিল ভাই পুরো সময়েই দুর্দান্ত ছিলেন। সিরিজ। আজ এখনও সেরা ছিল না, আমাদের ২৭০-২৮০ রান করা উচিত ছিল। কিন্তু বোলিং প্রচেষ্টা দুর্দান্ত ।এখনও উন্নতির অনেক জায়গা আছে। আমরা ওয়ানডেতে ভালো দল কিন্তু যখন আমরা যাই বিদেশে এবং বিভিন্ন কন্ডিশন আছে, আমাদের চেষ্টা করতে হবে এবং আরও ভালো করতে হবে।