সর্বশেষ
ভালো খেলেও বাদ পড়েছিলাম, কারণ জানতে চাওয়াটাই বড় সমস্যা ছিল: ইমরুল কায়েস
ভালো খেলেও বাদ পড়েছিলাম, কারণ জানতে চাওয়াটাই বড় সমস্যা ছিল: ইমরুল কায়েস

ভালো খেলেও বাদ পড়েছিলাম, কারণ জানতে চাওয়াটাই বড় সমস্যা ছিল: ইমরুল কায়েস

এখন ওপেনার সংকটে ভুলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অথচ অবহেলার শিকার না হলে তামিমের পরেই দেশসেরা ওপেনার তালিকায় থাকতেন ইমরুল কায়েস। দিনের পর দিন ভালো খেলেও জায়গা পাননি জাতীয় দলে। তবে এবার জাতীয় দলে পর্যাপ্ত সুযোগ না পাওয়ায় বিসিবিকে ধুয়ে দিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

গতকাল বৃহস্পতিবার ( ৬ জুন) এক সাক্ষাৎকারে নিজের জাতীয় দলের উত্থানপতন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন কায়েস। বাংলাদেশ দলে এমন অনেকেই আছে যারা দিনের পর দিন সুযোগ পাচ্ছে তবুও ভালো করতে পারছে না। কিন্তু তারা বাদ পড়ছে না। অথচ কিছু ক্রিকেটার এক বা দুই ম্যাচ খারাপ করলেই দল থেকে বাদ পড়ে।

এদিকে বিসিবির এই মনোভাব পরবর্তী বা তরুণ ক্রিকেটারদের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে এই প্রশ্ন করা হয় কায়েসকে। জবাবে এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বলেন, অবশ্য খারাপ প্রভাব ফেলবে। কারণ, আপনি একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার ভালো করতে গিয়ে, আর পাঁচ জনের ক্যারিয়ার খারাপ করছেন।

এ সময় নিয়ে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া এবং বাদ পড়া নিয়ে কায়েস বলেন, আমি বলব না যে, আমি আমি সুযোগ পায়নি। আমি সুযোগ পেয়েছি, যখন আইএসএলে সবাই চলে গেল। তখন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাইপ লাইনে কোনো খেলোয়াড় ছিল না।

তিনি বলেন, ‘আমি তখন টেস্ট খেলা জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু নির্বাচকরা আমাকে টেস্ট খেলিয়ে দিয়েছে। আমি ভালো খেলেছি। তবে আমাকে যখন বাদ দেওয়া হয়েছে,তখন আমি সেরা সময়ে ছিলাম। আমি জানি না আমি কি কারণে বাদ পড়েছি।’

সে সময় দল থেকে বাদ পড়ার কারণ জানতে চাওয়ায় নাকি কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই ব্যাটারের। তিনি বলেন, আমি এটা জানতে চেয়েছিলাম, আমি কেনো বাদ পড়লাম। এটাই আমার জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আপনার তো উচিত বিষয়টা জানানো, কারণ এটা আমার ক্যারিয়ার, আমার তো অধিকার আছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে নির্বাচন ব্যবস্থা এবং অনিয়মের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, একজন নির্বাচক আমাকে বলেছিলেন, তুমি টেস্ট নিয়ে চিন্তা করো না। আমরা তোমাকে টেস্টে ভাবছি না। কিন্তু আবার পরের সিরিজের টেস্ট দলে দেখছি যে আমি আছি।

তিনি বলেন, ‘আবার ওয়ানডেতে আমি ভালো খেলেও বাদ পড়েছি। আমি সেঞ্চুরি করেছি, আমাকে ডুবাই নিয়ে গেছে ভালো খেলেছি। তাও দেখি আমি বাদ।’ তিনি আরও বলেন, আমি এই কারণে বিষয়গুলো খোলামেলা বলছি; কারণ, আমি হয়তো আরও ভালো খেলোয়াড় হতে পারতাম। যদি আমাকে বলে দিতো, যে তুমি এই তিন বছর বা চার বছর টেস্ট না শুধু ওয়ানডে নিয়ে চিন্তা কর।

গত ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে সিরিজে ডাক পেয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। তিন ম্যাচের সিরিজের দুটিতে সেঞ্চুরি এবং একটিতে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এতে সিরিজ সেরা হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে অবিশ্বাস্য ভাবে পরের সিরিজেই বাদ পড়েন কায়েস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *