গত ২ জুন শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। বড় বড় দলগুলো ইতিমধ্যে মাঠে নামলেও এখনো কোন ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। তবে সেই অপেক্ষা ফুরাচ্ছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামীকাল (শনিবার) সকাল ৬:৩০ মিনিটে মাঠে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচ মানেই মাঠ ছাপিয়ে মাঠের বাইরেও উত্তেজনা। দুই দলের লড়াই মানেই সমর্থকদের জন্য বাড়তি কিছু। মাঠেও খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষায় দেখা যায় লড়াইয়ের ছাপ। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ‘টাইমড আউটের’ পর লড়াইয়ে পেয়েছে বাড়তি মাত্রা।
টি-টোয়েন্টি এমন একটা ফরম্যাট, যেখানে নিজেদের দিনে যেকোন দল যে কাউকেই হারিয়ে দিতে পারে। ২০ ওভারের ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ১৬ বার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে অবশ্য লঙ্কানদের জয়ের পাল্লাই ভারী (১১টি), অন্যদিকে টাইগাররা জিতেছে ৫টি ম্যাচ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফলাফলও কথা বলছে লঙ্কানদের হয়ে। দুই দলের দুইবারের দেখায় প্রতিবারই হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার-লিটন কুমার দাশরা সেই জয় খরা এই ম্যাচ দিয়েই কাটাতে চাইবেন নিশ্চিত করেই। তবে দুই দলের সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় লঙ্কানদের ভালো কিছু করার আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।
বিশ্বকাপে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭৭ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ৬ উইকেটে হেরেছে তারা। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে নিশ্চিত করেই ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দল। তবে কাজটা যে তাদের সহজ হবে না সেটা ভালো করেই জানেন লঙ্কানরা।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর প্রস্তুতি ম্যাচে টাইগাররা হেরেছে ভারতের কাছে। বাংলাদেশের টপঅর্ডার ব্যাটাররা নিয়মিত রান করতে পারছেন না। যা ভোগাচ্ছে পুরো বাংলাদেশ দলকেই। তবে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানিয়েছেন, ল্যাকিংস নিয়ে কাজ করেছেন সৌম্য-লিটনরা। এখন সেটা ম্যাচে প্রয়োগ করতে পারলেই হয়।