ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে হত্যাচেষ্টা, মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে করা মামলায় নায়িকা পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে এক হাজার চাকা মুচলেকায় বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ১৮ মার্চ ঘটনার সত্যতা পেয়ে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন। এরপর আদালত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ২৫ জুন পরীমনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
চার্জশিটে আসামি পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে বাদীকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও পরীমনি ও তার সহযোগীরা ৮৭ হাজার ৬৫০ টাকার মদ খেয়ে বিল দেননি এবং বাদী নাসিরকে অ্যাশট্রে ও কাচের বোতল ছুঁড়ে আহত করেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলা হয়েছে।
২০২২ সালের ৬ জুলাই একই আদালতে সাভার বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- পরীমনির সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিম।
বোড ক্লাবের ঐ রাতের ঘটনার পাঁচদিন পর ২০২১ সালের ১৪ জুন ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি সাভার থানায় মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটিতে বাদী পরীমনির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।