বাংলাদেশ দীর্ঘ ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠেছে। গ্রুপ পর্বে ৪ ম্যাচের ৩টি জয় পায় টাইগাররা। তবে সুপার এইটের তিন ম্যাচের একটিতেই জয় পায়নি বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে ১২.১ ওভারে আফগানিস্তানকে হারাতে পারলেই সেমি ফাইনালে চলে যেতো বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে কোনো রকম ঝুকি না নিয়ে জেতার চেষ্টা করে বাংলাদেশ।
কোচ ও শান্তদের কাছে সেমি ফাইনালের চেয়ে যেন ম্যাচটা জয় পাওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যা নিয়ে চারে দিকে হচ্ছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা। তার মধ্যে নাজমুল হোসেন শান্ত’র অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে তার ব্যাটিং নিয়ে। তিনি যেমন অধিনায়ক হিসেবে দলকে লিডকে করতে ব্যর্থ ঠিক তেমনি নিজেও পারফরম করতে ব্যর্থ।
আর তাইতো বিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিন ফরমেটে আর নাজমুল হোসেন শান্তকে অধিনায়কের দায়িত্বে রাখা হবে না। এখন সবার মনে প্রশ্ন তাহলে নতুন অধিনায়ক হবেন কে? সাকিব তো নিজেই লড়াই করছেন। তিনি হয়তো আর বেশি দিন ক্রিকেট খেলবেন না। তাই তিনি অধিনায়ক হবেন না।
আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যারিয়ারও শেষ পর্যায়ে। তাই তিনিও অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে থাকবেন না সেটাই স্বাভাবিক। বাকি আছেন লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ আরও আছেন তাসকিন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সহঅধিনায়ক ছিলেন তাসকিন। তবে যতদুর জানা গেছে তাকে নয় অন্য কাউকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।
সেক্ষেত্রে লিটন দাসকেও চিন্তা করছে না বিসিবি। কেননা দীর্ঘ দিন ধরে অফ ফর্মে রয়েছেন তিনি। তার একাদশে থাকাটাই যখন প্রশ্ন বিদ্ধ তখন তো তিনি আর অধিনায়ক হতে পারেন না। বাকি মেহেদি হাসান মিরাজ। যত দুর জানা গেছে তাতে নাজমুল হোসেন শান্ত’র পর অধিনায়ক হতে পারেন মিরাজ।