২০১৮ সালে, মাশরাফি বিন মুর্তজা আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে গুঞ্জন উঠেছিল যে, তিনি বিসিবির পরবর্তী সভাপতি হবেন। ২০২৪ সালে মাশরাফি আবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে ৫ আগস্ট ছাত্র বিদ্রোহের ফলে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন, এবং পরদিন সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়।
গোটা আন্দোলনের সময় মাশরাফি নীরব ভূমিকা পালন করেন, যার ফলে তার ভক্তদের মধ্যে তার প্রতি বিদ্বেষ বাড়ে। তবে গতকাল বিডিনিউজ ২৪কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাশরাফি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। ক্রিকেট বোর্ডে কাজ করার বিষয়ে তাকে অনেক প্রশ্ন করা হয়।
জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর খেলা বাদ দিয়ে ক্রিকেট বোর্ডে যোগ দিইনি। আমি নিজের কথা ভাবিনি। যে অবস্থায় আমি ছিলাম, হয়তো উপরের মহলে গিয়ে ক্রিকেটের কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারতাম। কিন্তু আমি কখনোই নিজের স্বার্থে কিছু চাইনি।’
মাশরাফি আরও বলেন, ‘যখন বলার সুযোগ ছিল, তখনই বলিনি। এখন যে পরিস্থিতি, তাতে মনে হয় ক্রিকেট বোর্ডে থাকা বা এরকম কোনো দায়িত্ব নেওয়া আমার প্রাপ্য নয়। আমি এমন দাবিও করতে পারি না। রাজনীতিতে থাকাকালে আমি ক্রিকেট বোর্ডে থাকার চেষ্টা করিনি। এখন রাজনীতিতে না থাকায়, যদি বোর্ডে থাকার চেষ্টা করি বা সেখানে থাকতে চাই, তাহলে এটা কেমন হয়ে যাবে!’
তিনি যোগ করেন, ‘যদি ছোট কোনো প্ল্যাটফর্মে সুযোগ আসে, সেই জায়গা থেকে চেষ্টা করতে পারি। তবে বড় পরিসরে বা বোর্ডে গিয়ে বলব যে, ‘এখন ক্রিকেট নিয়ে কাজ করতে চাই’—এটা অনেকটা সুযোগসন্ধানী ব্যাপার হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে বোর্ডে থাকার বাস্তবতা আমার নেই এবং আমি ডিজার্ভও করি না। হ্যাঁ, ক্রিকেট আমার রক্তে আছে। কেউ যদি সহায়তা চায়, আমি অবশ্যই পাশে থাকব।’