আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের চার বছর হয়ে গেছে, কিন্তু এখনও ক্রিকেটকে বিদায় জানাননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। ভারতের দুইবার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে তার আইপিএল দল চেন্নাই সুপার কিংসও ছাড়তে রাজি নয়। প্রতি আইপিএল মৌসুমে গুঞ্জন ওঠে, এটাই হয়তো ধোনির শেষ আসর। কিন্তু প্রতি বারই তিনি ফিরে আসেন। সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, আগামী আইপিএলেও ধোনি খেলবেন, তবে এটি নির্ভর করছে একটি বিশেষ আইনের ওপর।
গত আইপিএলে ধোনি ব্যাট হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। তিনি ৭৩টি বল খেলে ১৩টি ছক্কা এবং ১৪টি চার মেরেছেন, যা তার ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো এক মৌসুমে ২০০-এর ওপরে স্ট্রাইক রেট তৈরি করেছে। ১১ ইনিংসে তিনি আটবার অপরাজিত ছিলেন। নিজের আইপিএল ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোনি বলেছেন, ‘এটার জন্য এখনো অনেক সময় আছে। আমরা দেখতে হবে খেলোয়াড় ধরে রাখার ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বর্তমানে বল আমাদের কোর্টে নেই।’
৪৩ বছর বয়সী ধোনির আইপিএল খেলার পথে বয়স ও ফিটনেস একটি বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েক বছর ধরে তিনি হাঁটুর চোটে ভুগছেন। তারপরও চেন্নাই সুপার কিংস তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আগ্রহী এবং আগামী মৌসুমে তাকে খেলানোর জন্য ‘আনক্যাপড প্লেয়ার রুল’ পুনর্বহাল করার প্রস্তাব দিয়েছে বলে খবর এসেছে। তবে চেন্নাইয়ের পক্ষ থেকে এ খবর নাকচ করে দেয়া হয়েছে এবং জানানো হয়েছে যে, এই নিয়ম ফেরানোর বিষয়টি বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম মৌসুম থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ‘আনক্যাপড প্লেয়ার রুল’ চালু ছিল। ২০২২ মৌসুমে এই নিয়ম বাতিল করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনো খেলোয়াড় পাঁচ বা তার বেশি বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়, তবে তাকে ‘অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং তাকে ধরে রাখতে কম খরচ করতে হয়। ধোনির ক্ষেত্রে এ নিয়ম কিভাবে প্রযোজ্য হবে তা এখনো অস্পষ্ট।
ধোনি ২০২০ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন, তবে তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল ২০১৯ সালের জুলাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে। ফলে, তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পাঁচ বছর পূর্ণ হবে ২০২৫ সালের আগস্টে। সে ক্ষেত্রে বিসিসিআই একটি ‘কাট-অফ টাইম’ চালু করলে, ধোনিকে মাত্র ৪ কোটি রুপিতেই ধরে রাখা যাবে।