ব্যাটসম্যানদের জন্য ত্রাসের অপর নাম শোয়েব আখতার। ২২ গজের যুদ্ধক্ষেত্রে বল নয়, যেন ‘গোলা’ ছুঁড়তেন। গতির ভেলকিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনন্য পরিচিত পাওয়া এই পেসার। ক্রিকেট বোঝেন অথবা ক্রিকেটের খবর রাখেন- এমন কাউকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতির বোলার কে? তাহলে নির্দ্বিধায় তার উত্তরে উচ্চারিত হবে শোয়েব আখতারের নাম। হ্যাঁ, সুইং কিংবা সিম না, বরং নিজের ঝোড়োগতিতে প্রতিপক্ষ বোলারদের জন্য ত্রাস ছিলেন এই ডানহাতি পেসার। নিজের সময়ে বিশ্বের সব বাঘা বাঘা ব্যাটারকে নিজের গতি দিয়ে খাবি খাইয়েছেন তিনি। স্ট্রাইকে শচীন কিংবা লারা- যে-ই থাকতেন না কেন, শোয়েব ছন্দে থাকলে তিনি রীতিমতো আতঙ্ক হয়ে দাঁড়াতেন তাদের জন্য।
মূলত সেবারই নিজের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো শচীনের বিপক্ষে বল করেছিলেন তিনি, আর প্রথম বলেই নেন তার উইকেটটি। নিজের পুরো ক্রিকেট ক্যারিয়ারে বেশ কিছু বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছিলেন শোয়েব। যার কারণে থাকতেন পাকিস্তান দলে আসা-যাওয়ার মধ্যেই। ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি করেছিলেন তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং (৬/১১)। এর এক বছর পরই ক্রিকেট বিশ্বকাপের একটি ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বকালের সর্বোচ্চ গতিতে বল করার বিশ্ব রেকর্ড গড়েন, ১৬১.৩৭ কিঃমিঃ (১০০.২৩ মাইল) গতিতে।
আজ তার রাওয়ালপিন্ডির মাঠে গতির যর তুলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ এক্সপ্রেস নাহিদ রানা। রাওয়ালপিন্ডিতে চলমান দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ ১৫২ কিলোমিটার গতিতে একটি বল করেছেন টাইগার প্রেসার নাহিদ রানা যা বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ গতির বলের রেকর্ড।