সর্বশেষ

বাংলাদেশের নাহিদ রানাকে নিয়ে একি অবিশ্বাস্য ভবিষ্যদ্বাণী করলেন শোয়েব আখতার

একটা সময় ছিল, যখন একজন ভালো মানের পেস বোলারের অভাবে ভুগেছে বাংলাদেশ। মাঝে অবশ্য সেই অভাব পূরণ করেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তবে মাশরাফি ইঞ্জুরির কারণে তার আগের গতি হারিয়ে ফেললেও সেই অভাবটা বুঝতে দেয়নি সম্প্রতি রুবেল হোসেন তাসকিনরা। তারাও বাংলাদেশের হয়ে উইকেটে গতির ঝড় তুলছেন সব সময়। তবে এবার তাদেরকেও ছাপিয়ে গেলেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার নাহিদ রানা। যার গতি কাঁপন ধরাচ্ছে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। বিশ্বের সর্বোচ্চ গতির বোলার শোয়েব আখতারের শহর রাওয়ালপিন্ডিতে এবার গতির ঝড় তুলেছেন নাহিদ রানা।

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘন্টায় ১৫২ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন ডানহাতি এই পেসার। যা কি না বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বল করার রেকর্ড।

এর আগে গতির ঝড়ে ১৫০-এর কোটা ছুঁতে পারেননি কোনো বাংলাদেশি পেসার। বাংলাদেশের হয়ে রুবেল হোসেন সর্বোচ্চ ১৪৯.৫ কিলোমিটার গতিতে বল করার রেকর্ড গড়েছিলেন।

২১ বছর বয়সী এই পেসার তার ক্যারিয়ারে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলছেন। চলতি বছরের মার্চে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল তার। শুরুতেই নিজের প্রতিভার জানান দিয়েছিলেন তিনি। গতিতে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। অভিষেক ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ২ উইকেট।

তবে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে তার ধার যেনো বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে ১৫২ কিলোমিটার গতিতে বল করে রীতিমত হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন ক্রিকেট পাড়ায়। এদিন শুরু থেকেই গতির ঝড় তুলতে থাকেন এই বোলার। শান মাসুদ, বাবর আজম, সৌদ শাকিল ও আবরার আহমেদের উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশি এই পেসার। অল্পের জন্য ফাইফার মিস করেছেন তিনি।

শুধু তাই নয় তার গতির ঝড় দেখে বিশ্বের সর্বোচ্চ গতির বোলার শোয়েব আখতারও হয়েছেন অবাক। পাকিস্তানের ক্রিকেট বিষয়ক এক ওয়েব সাইটে তিনি বলেছেন, এতো কম বয়সে এতো গতিতে বল করার চেষ্টা করছে ছেলেটা। তার আর কতই বা অভিজ্ঞতা রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। “He will Break my milestone”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *